চাকরি হারানো এসএলএসটি উত্তীর্ণ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলন ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে রাজ্যে (Teachers Protest)। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিকাশ ভবনের সামনে শুরু হওয়া বিক্ষোভ শেষ পর্যন্ত গড়ায় সংঘর্ষে (Teachers Protest)। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা (Teachers Protest)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীরা বিকাশ ভবনের মূল গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন। এরপর রাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি ও লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে শুক্রবার বিধাননগর পুলিশ ২০১৬ সালের এসএলএসটি উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। অভিযোগ, আন্দোলনকারীরা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করেছেন, প্রশাসনিক কাজে বাধা দিয়েছেন এবং বেআইনিভাবে সরকারি কর্মীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশের এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা জানিয়েছে শিক্ষক অধিকার মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য,
“আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। কোনও ভাঙচুর হয়নি। কিছু ছবি তুলে তা বিকৃতভাবে ব্যবহার করে আন্দোলন দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কাজ হবে না। আমাদের ন্যায্য চাকরি ফেরত পেতেই হবে।”
বিকাশ ভবনে পুলিশের অভিযানে যেভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে, তাতে রাজ্য রাজনীতিতেও তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ ইতিমধ্যেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এই মুহূর্তে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি এবং তার জেরে চাকরি খোয়ানো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলন রাজ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং পাল্টা মামলা—এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যবাসী।