Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • এক মহিলার সূত্র ধরেই মিলল খুনিদের হদিস! আনন্দপুরে আততায়ী বাহিনী, পুলিশের চোখ এড়িয়ে কীভাবে?
রাজ্য

এক মহিলার সূত্র ধরেই মিলল খুনিদের হদিস! আনন্দপুরে আততায়ী বাহিনী, পুলিশের চোখ এড়িয়ে কীভাবে?

patna shoot out
Email :16

পাটনার এক বেসরকারি হাসপাতালে দুষ্কৃতীদের গুলিতে (Patna shootout) নিহত হল বিহারের কুখ্যাত গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্র। এই চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য হাতে পাচ্ছে বিহার পুলিশ ও এসটিএফ (Patna shootout)। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত তৌসিফ ওরফে বাদশা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে কলকাতা থেকে। আনন্দপুর এলাকার এক গেস্ট হাউস থেকে ধৃত হয় মূল অভিযুক্ত। গ্রেফতার হয়েছে নিশু খান নামের আরেক দুষ্কৃতীও। জানা গিয়েছে, কলকাতার বিরাটি এলাকার এক মহিলা ওই আততায়ীদের গেস্ট হাউসে নিয়ে এসেছিল (Patna shootout)। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, এই মহিলাই গ্যাংটির কলকাতায় থাকার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিল।

সূত্রের খবর, আনন্দপুরে শুক্রবার রাতেই তারা তিনটি এসি রুম বুক করে (Patna shootout)। চারজন দুষ্কৃতীর মধ্যে মাত্র দু’জন পরিচয়পত্র জমা দেয়, বাকি দু’জন দেয়নি। গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ কেন তাদের চেক করেনি, কিংবা পুলিশকে খবর দেয়নি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এমনকি থানার মাত্র ২৮০ মিটার দূরে ছিল সেই গেস্ট হাউস, অথচ পুলিশ কিছু টেরই পেল না! স্থানীয়রা বলছেন, গোটা ঘটনার জেরে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ এবং এসটিএফের সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই জানিয়েছে বিহার পুলিশ (Patna shootout)। চন্দন মিশ্র হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দলও পাটনা পুলিশকে সাহায্য করেছে।

তদন্তে উঠে আসছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। চন্দন মিশ্র ও শেরু সিংহ একসময় অপরাধ জগতের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিল। খুন, চুরি, ডাকাতি—সবই তারা একসঙ্গে করেছে, এমনকি জেলও খেটেছে একসঙ্গে। কিন্তু পরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। জেলেই দু’জনের মধ্যে মারামারিও হয়েছিল বলে জানা গেছে। বখরা নিয়ে গন্ডগোল শুরু হলে শেরুর সন্দেহের তালিকায় চন্দনের নাম উঠে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যারোলে চন্দনের ছাড়া পাওয়ার খবর জানার পরই খুনের ছক কষে শেরু। শেরুর নির্দেশেই তৌসিফ ওরফে বাদশার গ্যাং চন্দনকে খুন করে।

জানা গেছে, একাধিকবার শেরুই তৌসিফকে জামিনে মুক্তি পেতে সাহায্য করেছিল। সেই সূত্রেই তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এবার সেই সম্পর্কেরই পরিণতি—চন্দন খুন। তৌসিফের দল পাটনার হাসপাতালে ঢুকে চন্দনকে গুলি করে খুন করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শেরুর নির্দেশেই এই শ্যুটআউট—এমনটাই মনে করছে তদন্তকারীরা।

এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছে, যাদের মধ্যে একজনকে ওড়িশার ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে ধরা হয়েছে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে বিহারে নিয়ে যাওয়া হবে। আজই আদালতে তোলা হতে পারে তাদের।

এই ঘটনায় একাধিক গাফিলতির প্রশ্নও উঠছে—গেস্ট হাউসের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা কেন পুলিশকে কিছু জানাল না, থানার এত কাছাকাছি থেকেও কীভাবে একদল দুষ্কৃতী গা-ঢাকা দিয়ে খুনের পরিকল্পনা করল, সেসব নিয়ে তদন্তে নামছে প্রশাসন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts