কয়েকদিন ধরে রাজনীতির পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের কারণে আলোচনায় ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম। গত তিন বছরের প্রেমকথা, আদালতে চোখে চোখে বিনিময়িত মূহূর্ত—সবই নিয়ে বিস্তর চর্চা। ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একসাথে তল্লাশি চালায় ইডি, অর্পিতার খাটের নিচ থেকে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা ও গয়না। তখনই প্রথম প্রকাশ্যে আসে পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক (Partha Chatterjee)।
যদিও পার্থ (Partha Chatterjee) বরাবর দাবি করেন, অর্পিতাকে তিনি চেনেন না। অর্পিতা জানান, তাঁর খাটের নিচে পাওয়া টাকা পার্থরই (Partha Chatterjee) ছিল, তবে ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি। দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে কাটাছেঁড়া চলেছে ঘনিষ্ঠ বৃত্তে—কখনও কাকা-ভাইঝি, কখনও মামা-ভাগ্নি। আদালতের ভারচুয়াল শুনানিতে দু’জনের চোখের ভাষা প্রকাশ করেছিল সম্পর্কের গভীরতা।
জেলমুক্তির পর পার্থ (Partha Chatterjee) প্রথমবার অর্পিতা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন। তিনি বলেন, “লোকের দুই বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না। যারা এটা নিয়ে বিদ্রুপ করেছেন, তাদের প্রতি সহানুভূতি রইল।”
কিন্তু প্রশ্ন, এই মন্তব্যে কাকে বিঁধলেন পার্থ? রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন—নিশানায় রয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি তৃণমূলে ফেরার পর তিনি এনকেডিএর চেয়ারম্যান হয়েছেন। আরও শোনা যাচ্ছে, বেহালা পশ্চিমে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারেন শোভন। পার্থ নিজে ফিরেই তার আসন রক্ষা করতে চেয়েছেন, যা এই মন্তব্যকে জটিল রাজনৈতিক আক্রমণে পরিণত করেছে।
রাজনীতিবিদ ও ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পার্থের এই বক্তব্য শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্ক নয়, ভবিষ্যতের নির্বাচনী খেলায়ও বার্তা বহন করছে।













