কলকাতার হৃদয় পার্ক স্ট্রিটের বিলাসবহুল হোটেল থেকে উদ্ধার হওয়া রাহুল লালের দেহ (Park Street Murder) ঘিরে চাঞ্চল্য বাড়ছে প্রতি ঘণ্টায়। ওড়িশা থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ, ঘটনায় বড় মোড়। ধৃতদের নাম শক্তিকান্ত বেহরা ও সন্তোষ বেহরা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই বেরিয়ে আসবে খুনের আসল কারণ ও পেছনের রহস্য।
ঘটনা শুরু ২৪ অক্টোবরের সকালে। রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের একটি হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় (Park Street Murder) রাহুল লালের দেহ। ঘর থেকে পচা গন্ধ বেরোতেই সন্দেহ হয় হোটেল কর্মীদের। তারা দরজা খুলে দেখে— খাটের বক্সের মধ্যে গুঁজে রাখা দেহ। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশে। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে রাহুলকে (Park Street Murder)।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ২২ অক্টোবর বিকেলে তিন যুবক হোটেলের ওই ঘর ভাড়া নেন। কিছুক্ষণ পর একজন বেরিয়ে যান এবং রাতে ফেরেন। আবার কিছু সময় পরে দু’জন একসঙ্গে বেরিয়ে যান, আর ফিরে আসেননি কেউ। ঘর বন্ধ থাকে টানা দুই দিন। ২৪ অক্টোবর সকালে নতুন এক অতিথি সেই রুম নিতে এলে, পচা গন্ধে প্রকাশ পায় হত্যাকাণ্ড (Park Street Murder)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হত্যার পর অভিযুক্তরা একটি চাদর নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই দুই যুবক পলাতক ছিল। রাহুলের মোবাইল লোকেশন ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ ওড়িশার দিকেই তদন্তের ফোকাস ঘোরায় (Park Street Murder)। শেষমেশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওড়িশায় হানা দেয় গোয়েন্দারা এবং সেখান থেকেই হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় শক্তিকান্ত ও সন্তোষকে।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, রাহুলের সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন বা ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকেই এই খুনের সূত্রপাত। তবে সঠিক কারণ জানতে ধৃতদের বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। তাঁরা আরও খতিয়ে দেখছেন, অভিযুক্তদের পালাতে কেউ সাহায্য করেছিল কি না, কিংবা এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছে কি না।
রাহুল লাল কে ছিলেন, তাঁর সঙ্গে ধৃতদের সম্পর্ক কী, বা খুনের পেছনে বড় কোনও চক্র আছে কি না— তা নিয়েও চলছে খোঁজ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কলকাতায় এনে পুনর্নির্মাণ করা হবে পুরো ঘটনাক্রম।












