পানিহাটির (Panihati) রাস্তায় প্রকাশ্য হাতাহাতি এবং চুলোচুলির ঘটনায় শেষমেশ মিটমাট হল দুই পক্ষের মধ্যে। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায় ও তরুণীর মধ্যে যে বিবাদ হয়েছিল, তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই নেট মাধ্যমে চর্চা চলছিল। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও দেখে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কাউন্সিলরকে (Panihati)। তবে শনিবার দুই পক্ষই সামনে এসে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘটনার নিষ্পত্তি করেছেন।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত সোমবার। পানিহাটি (Panihati) মহোৎসবতলা ঘাট থেকে কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায় বাইকে যাওয়ার সময় একটি স্কুটি এসে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়িতে। এরপরই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, শ্রাবন্তী রায় বাইক থেকে নেমে তরুণীর দিকে এগিয়ে যান এবং প্রথমে হুমকি দেন, তারপর আচমকাই চড় মারেন। পাল্টা তরুণীও চুলের মুঠি ধরে মারধর শুরু করেন। রাস্তায় একেবারে গড়াগড়ি খেতে দেখা যায় দু’জনকে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খান। পরে খড়দহ থানার ট্রাফিক পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে (Panihati)। একজন জনপ্রতিনিধির এই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নেটিজেনরা এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। অনেকেই বলেন, কাউন্সিলরের আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল।
সবকিছু নিয়ে বিতর্কের আবহে অবশেষে শনিবার সেই তরুণীর সঙ্গে নিজে দেখা করেন কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায়। একসঙ্গে বসে দুই পক্ষই নিজেদের ভুল স্বীকার করেন। কাউন্সিলর বলেন, “সেদিন মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল, আমি বুঝতে পারিনি। আমিও ভুল করেছি।” তিনি জানান, তরুণীকে তিনি কন্যাসম মনে করেন। পরে কাউন্সিলর নিজে হাতে তরুণীকে চকোলেট খাইয়ে দেন এবং স্নেহের বশে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। তরুণীও পাল্টা শ্রাবন্তী রায়কে চকোলেট খাওয়ান। তরুণীর কথায়, “রাস্তার ঘটনাটা রাস্তাতেই মিটে গিয়েছে। আমিও ভুল করেছিলাম, উনিও।”
ঘটনার পরিণতিতে রাজনৈতিক উত্তেজনার বদলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছে এলাকাবাসীও।