‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের কাছে বড় ধাক্কা খাওয়ার পর এবার ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নিল পাকিস্তান (Pakistan)। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ঘোষণা করলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে নতুন একটি বাহিনী গঠিত হবে—এর নাম ‘আর্মি রকেট ফোর্স কমান্ড’।
ইসলামাবাদের (Pakistan) জিন্নাহ স্পোর্টস স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আয়োজিত ‘মার্কা-ই-হক’ অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন পাক প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, জেনারেল শাহিদ শামশাদ মির্জা সহ শীর্ষ সেনা ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
শেহবাজ শরিফ (Pakistan) দাবি করেন, ভারতের ‘আগ্রাসনের’ জবাব মাত্র চার দিনেই দিয়েছে পাকিস্তান। এজন্য তিনি সেনাপ্রধান আসিম মুনির, জেনারেল শাহিদ শামশাদ, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির আহমেদ বব্বরকে কৃতিত্ব দেন। পাশাপাশি, সংঘাতের সময়ে পাকিস্তানকে সমর্থন করার জন্য চীন, সৌদি আরব, আজারবাইজান, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে ধন্যবাদ জানান।
নতুন বাহিনী তৈরির ঘোষণার পাশাপাশি বারবার পাকিস্তানের পারমাণবিক ক্ষমতার কথা উল্লেখ করেন শেহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, পাকিস্তানের হাতে থাকা পরমাণু অস্ত্র শুধু প্রতিরক্ষার জন্য, আগ্রাসনের জন্য নয়। এজন্য তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টো, বিজ্ঞানী ড. আব্দুল কাদের খান এবং সেনাবাহিনীকে কৃতজ্ঞতা জানান।
সূত্রে জানা গেছে, এই নতুন সামরিক বাহিনীতে বিপুল পরিমাণ প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট থাকবে, যার মধ্যে প্রধানত ‘ফতেহ’ সিরিজ ও অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এটি পাকিস্তানের আর্মি স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স কমান্ডের সমান্তরালে কাজ করবে, তবে পারমাণবিক অস্ত্রের বদলে কেবল প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাই ব্যবহার করবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের ব্রহ্মস, পৃথ্বী ও অগ্নি সিরিজের মতো শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতার মোকাবিলা করতেই পাকিস্তান এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ঘটনার পর ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি যে পাকিস্তানের জন্য বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই সিদ্ধান্ত তারই প্রমাণ।