গত ২৪ ঘণ্টায় ফের রাজ্য রাজনীতির আলোচনায় উঠে এসেছে ফুরফুরা শরিফ। আচমকাই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে নিযুক্ত হয়েছেন পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকী। অন্যদিকে, ফুরফুরারই আর এক পীরজাদা, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqi) দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় কেন্দ্র থেকে কি কাশেমকে প্রার্থী করা হবে নওশাদের বিরুদ্ধে? তবে কি এবার ফুরফুরার পীর পরিবারেই রাজনীতির ছায়া?
এই জল্পনার মধ্যেই মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqi)। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পরিবারে কেউ বিভেদ ধরাতে পারবে না। পারিবারিক সম্পর্ক একেবারে অটুট।’’ তবে একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, কাশেম সিদ্দিকীর তৃণমূলে যোগদান সাধারণ মানুষ ভালভাবে নিচ্ছেন না।
নওশাদের (Naushad Siddiqi) আরও দাবি, তৃণমূলের অন্দরে কাশেমের পদপ্রাপ্তি নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অনেক নেতা আমাকে ফোন করে বলছেন, এতদিন ধরে রাজনীতিতে রয়েছি, অথচ হঠাৎ করে একজন এসে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হয়ে গেলেন! এটা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা।’’
একইসঙ্গে, তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার প্রসঙ্গ টেনে নওশাদ (Naushad Siddiqi) কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘শওকত মোল্লা প্রতিদিন আমাকে হেনস্থা করেন। অথচ এতদিনেও কোনও পদ পেলেন না। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে কাকে কখন বসানো হয়, সেটা বোঝা সত্যিই কঠিন।’’
কাশেম যদি ভবিষ্যতে ভাঙড় থেকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন, এই প্রশ্নের উত্তরে নওশাদ বলেন, ‘‘আমি তো চাই, আমার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রার্থী হোন।’’
সব মিলিয়ে পীর পরিবারের দুই সদস্যের রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ, শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।