নবান্ন অভিযানের উত্তাল আবহের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল। শ্বাসকষ্ট ও বমি-বমি ভাব নিয়ে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিলোত্তমার মা (Nabanna Abhijan)। তাঁর কপালে চোট, শরীরে আঘাতের চিহ্ন—নিজের মুখেই অভিযোগ করলেন, তাঁকে নাকি মারধর করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, তাঁর হাতে থাকা শাঁখা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। তবে পুলিশের দাবি, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন (Nabanna Abhijan)।
শনিবার দুপুরে নবান্ন অভিযানের মিছিল চলাকালীনই এই ঘটনার সূত্রপাত (Nabanna Abhijan)। অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাঁকে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। খবর পেয়ে তাঁকে দেখতে ছুটে আসেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। পৌঁছে যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Nabanna Abhijan)।
শুভেন্দু জানান, তিলোত্তমার মা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর MRI করা হয়েছে, শাঁখা ও পলা ভেঙে গিয়েছে। আরও জানান, সিটি স্ক্যানের প্রয়োজন হতে পারে। “ওঁর জ্ঞান আছে, কিন্তু চোখ দিয়ে অঝোরে জল পড়ছে—হয়তো মেয়ের জন্য বিচার চাইতে গিয়ে মার খাওয়ার কারণে,” মন্তব্য শুভেন্দুর।
নিজের ক্ষোভ লুকিয়ে না রেখে নির্যাতিতার মা বলেন, “কলকাতা পুলিশ মেরেছে। কয়েকজন পুরুষ পুলিশ, কয়েকজন মহিলা পুলিশ এসে আমাকে মেরেছে। হাতের শাঁখাটা ভেঙে দিয়েছে, পিঠে লেগেছে। আমাকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, পরে ধরে তোলা হয়। এমনকি ওর বাবাকেও মেরেছে।”
তিনি আরও জানান, “এখন এখানে হয়তো কয়েকজন আছি, কিন্তু পুলিশের আধিকারিক অনেক বেশি। কেউ এসে কথা বলেনি। যতক্ষণ না ওরা ব্যারিকেড সরাবে, আমাকে কেন মারল তার জবাব না দেবে, ততক্ষণ আমি এখানেই বসে থাকব।” এই বক্তব্যের পরপরই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।