নবান্ন অভিযান ঘিরে শনিবার ছিল তীব্র আবেগ আর ক্ষোভের মিশেল (Nabanna Abhijan)। রাখি বন্ধনের দিনই তিলোত্তমা ঘটনার এক বছর পূর্ণ হল। তাই পথে নেমে প্রতিবাদের ডাক দিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা (Nabanna Abhijan)। তাঁদের দাবি, একা সঞ্জয় রাইয়ের পক্ষে এই নৃশংসতা ঘটানো সম্ভব নয়, তাই বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আজ তাঁরা যোগ দিলেন নবান্ন অভিযানে। তিলোত্তমার বাবা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন—লড়াই থামবে না, যতবার ব্যর্থ হবেন, ততবার লড়বেন (Nabanna Abhijan)।
অভিযান চলাকালীন পরিস্থিতি চরমে ওঠে যখন তিলোত্তমার মা (Nabanna Abhijan) অভিযোগ করেন, পুলিশ তাঁর হাতের শাঁখা ভেঙে দিয়েছে এবং তাঁকে মারধর করেছে। যদিও পোর্ট ডিসি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু অভিযানের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রতিবাদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিলোত্তমার বাবার কণ্ঠ কেঁপে ওঠে। আবেগঘন স্বরে তিনি বলেন, “ভয় পেলে মানুষ অনেক কিছু করে, মুখ্যমন্ত্রী সেই ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। মহাভারতের যুদ্ধ হয়েছিল দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের জন্য, নইলে হত না। এটাও যুদ্ধ। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যতবার ব্যর্থ হব, ততবার লড়ব, বিচার আনবই, কোনও সময় থামব না।” তিনি প্রায় অশ্রুসিক্ত হয়ে বলেন, “৬৬ বছর ধরে যা করেছি, মেয়েটাকে মানুষ করতেই করেছি। সেটা শেষ করে দিয়েছে পুলিশ। বাকি জীবন এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করব।”
তাঁর ক্ষোভ এতটাই তীব্র যে তিনি জানান, তাঁদের প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকেও নাকি বলতে হয়েছে এই মামলা ছেড়ে দিতে। “এর জবাব আমি আদালত থেকেই নেব”—এমন দৃঢ় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তিনি। রাজপথের বাতাসে তখন মিশে গেছে তিলোত্তমার জন্য ন্যায়ের দাবি, আর নির্যাতিতার পরিবারের অদম্য লড়াইয়ের অঙ্গীকার।
আপনি চাইলে আমি এখনই এই কপির জন্য ৫-৬টি ভাইরাল ফেসবুক হেডলাইনও বানিয়ে দিতে পারি, যাতে পোস্ট করলে সেগুলো সঙ্গে সঙ্গেই ক্লিক টানে।