কসবা থানা এলাকায় আইন কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের (monojit Mishra) বিরুদ্ধে আগেই অন্তত বারোটি মামলা ছিল বলে জানালেন সরকারি পক্ষের বিশেষ আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তিনি জানান, এই মামলায় যত দ্রুত সম্ভব চার্জশিট পেশ করে অভিযুক্তদের হেফাজতে রেখে বিচারপর্ব শুরু করা হবে (monojit Mishra) । আদালতে তিনি বলেন, যদি আগেই সেই বারোটি মামলায় মনোজিতের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হত, তাহলে এত বড় ঘটনা ঘটত না।
এদিন বিচারক প্রশ্ন তোলেন, ২০২৩ সাল থেকে চলা বারোটি মামলায় কেন পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি? সরকারি আইনজীবী সোজাসাপটা বলেন, অভিযুক্তরা সকলেই “একই নৌকার যাত্রী”। আদালতে এই মন্তব্য ঘিরে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায় (monojit Mishra) ।
মঙ্গলবার কসবা থানায় দায়ের হওয়া আরও দুটি মামলায় মনোজিতকে (monojit Mishra) ফের গ্রেপ্তার করা হয়। একটি মামলা ২০২৩ সালের, যেখানে মারপিট ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। অন্যটি ২০২৪ সালের, যেখানে সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই দুই মামলাতেই চার্জশিট ইতিমধ্যে পেশ করেছে পুলিশ (monojit Mishra) । তাই আদালতে পুলিশের জেল হেফাজতের আবেদন থাকলেও মনোজিত এই দুটি মামলায় জামিন পেয়ে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার অভিযুক্তদের গেট প্যাটার্ন পরীক্ষার দিন ধার্য হয়েছে। সাউথ কলকাতা ল কলেজের সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গিয়েছে, তারা আদৌ মনোজিত ও অন্যান্য অভিযুক্ত কিনা, তা বোঝার জন্য হাঁটার ভঙ্গি, শারীরিক গঠন বিশ্লেষণ করে মিলিয়ে দেখা হবে।
মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয় মনোজিত মিশ্র ছাড়াও, কলেজের দুই ছাত্র জায়েব আহমেদ, প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মনোজিতের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি, তবে বাকি তিনজনের পক্ষে জামিন চাওয়া হয়। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক চারজনকেই ৫ আগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
আদালতে মনোজিতের আইনজীবী অনুরোধ করেন, তাঁর মক্কেলকে যেন জেলে মশারি, কম্বল, পর্যাপ্ত জল, হাওয়া, খাবার, এবং লেখার সামগ্রী দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি আইনজীবীর কটাক্ষ, পেন ও কাগজ পেলে অভিযুক্ত নিজেকে “ভালো ছাত্র” বলে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করতে পারে।
সরকারি আইনজীবীর দাবি, অভিযুক্তরা এখনও তদন্তে কোনওরকম সহযোগিতা করছে না। নিরাপত্তারক্ষী পিনাকীর আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল গার্ড রুমের বাইরে ছিলেন, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু সরকার পক্ষের বক্তব্য, গার্ড রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে থেকেও তিনি অভিযুক্তদের সহায়তা করেছেন।
আদালত নির্দেশ দেন, জেল হেফাজতে থাকাকালীন মনোজিতের প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করতে হবে। আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন এবং জেলে পুলিশ তাঁকে জেরা করলে দু’জন আইনজীবী সেই সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন।