আগামী ৯ জুন দিল্লি সফরে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Modi Mamata Meeting)। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই সফর হবে দু’দিনের এবং এর মূল উদ্দেশ্য হলো রাজ্যের কেন্দ্রীয় বকেয়া অর্থ আদায়। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ, আর তা আদায় করতেই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে (Modi Mamata Meeting) বসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্য কেন্দ্রীয় বকেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা। ২০২০ সাল থেকে একাধিক প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র মঞ্জুর করলেও তা রাজ্যকে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একশো দিনের কাজের প্রকল্প (MGNREGA), প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও সড়ক যোজনার মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি (Modi Mamata Meeting)।
এইসব দাবিতে তৃণমূল একাধিকবার প্রতিবাদ করেছে দিল্লির রাজপথেও। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন, এমনকি রেড রোডে অবস্থান বিক্ষোভেও বসেন তিনি। বকেয়া টাকা না পেয়ে রাজ্য সরকারের তরফে নিজস্ব তহবিল থেকেই আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এর ফলে রাজ্যের কোষাগারে চরম আর্থিক চাপ পড়েছে।
এদিকে, ৯ জুন থেকেই শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। সেখানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং বেশ কয়েকটি বিল পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর রাজনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হওয়াটাই তো স্বাভাবিক ঘটনা হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত দিল্লি যান না, সেটাই অস্বাভাবিক। নীতি আয়োগের মিটিংয়েও দেখা গেল, রাজনৈতিক মতাদর্শে ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও তামিলনাড়ুর স্ট্যালিন, ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন, হিমাচলপ্রদেশের সুখবিন্দর সিং সুখু বা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ওই ফোরামগুলো বেছে নেন না। এমনকি রাজ্যের কোনও প্রতিনিধিও পাঠানো হয় না।”
