বহু বছর ধরে বাজেনি, কিছু সাইরেনের তার কাটা, কোথাও আবার মরচে ধরেছে—মক ড্রিল (Mock Drill) শুরুর আগে কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা এমন সাইরেনগুলিকে দ্রুত সচল করার নির্দেশ দিল রাজ্যের সিভিল ডিফেন্স (Mock Drill)। কলকাতায় ৯০টি সাইরেন চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলির বেশিরভাগই সরকারি ভবনের ছাদে বসানো আছে(Mock Drill)—মহাজাতি সদন, হাই কোর্ট, লালবাজার, বিভিন্ন থানা এবং সিভিল ডিফেন্স ভবনে। রাজ্যের ১৭টি ‘সিভিল ডিফেন্স টাউন’-এও সাইরেন পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (Mock Drill)।
ডিজি (সিভিল ডিফেন্স) জগ মোহনের কথায়, “সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলির কার্যকারিতা যাচাই করতেই এই মহড়া। প্রতিটি অঙ্গ প্রস্তুত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।”
সাইরেনের শব্দ কীভাবে চিনে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে, তা জানাতে রাজ্যজুড়ে সচেতনতা প্রচার চালাবে সিভিল ডিফেন্স। সাধারণ মানুষকে জানানো হবে, সাইরেনের ওঠানামা করা শব্দ মানে বিপদের বার্তা—যেমন যুদ্ধবিমান, মিসাইল আক্রমণের আশঙ্কা। আবার নিরবিচারে সমান স্বরে বাজলে বোঝাতে হবে বিপদ কেটে গিয়েছে।
এদিকে, ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ পেয়েছেন রাজ্যের ৫৫ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ৭২০০ ‘আপদ মিত্র’। তাঁদের হাত ধরেই স্কুল, কলেজ, গ্রাম ও শহরাঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সচেতনতা বার্তা। প্রয়োজনে এনসিসি, স্কাউট-গাইডদেরও কাজে লাগানো হবে। পুরসভা, পুলিশ, দমকল থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত স্তরেও সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে প্রশাসন।
সিভিল ডিফেন্সের তরফে জানানো হয়েছে, মক ড্রিল চলাকালীন যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও ধরনের আতঙ্ক না ছড়ায়, সেই লক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়া এবং স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আগাম সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।