Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • একসময়ের ধনকুবের, আজ মৃত্যু আর অন্ধকারে ডুবে—রাজারহাটের হৃদয়বিদারক কাহিনি
রাজ্য

একসময়ের ধনকুবের, আজ মৃত্যু আর অন্ধকারে ডুবে—রাজারহাটের হৃদয়বিদারক কাহিনি

dead
Email :10

রাজারহাটের নারায়ণপুর দেবীপার্কে ঘটল হৃদয়বিদারক ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে গেল মৃত্যুর খবরের হাহাকারে (Mass Suicide)। একটি বাড়ির ভেতর থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় উদ্ধার হল দুই নারীর নিথর দেহ—৪২ বছরের মহুয়া দে এবং তাঁর ৭০ বছরের মা শিপ্রা রক্ষিত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে মহুয়ার স্বামী সঞ্জয় দে-কে, যিনি এখন আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন (Mass Suicide)।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দীর্ঘদিনের আর্থিক অনটন ও ঋণের চাপে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা (Mass Suicide)। ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট, যা পুরো ঘটনার অন্ধকার দিক উন্মোচন করেছে।

স্থানীয়দের মতে, একসময় বিপুল সম্পত্তির মালিক ছিলেন সঞ্জয় দে—বাড়ি, গাড়ি, বিলাসবহুল জীবন সবই ছিল তাঁর। কিন্তু কোনও পেশায় যুক্ত না থাকায় ধীরে ধীরে বিক্রি হয়ে যায় সব সম্পত্তি। শেষে স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে এসে উঠতে বাধ্য হন তিনি (Mass Suicide)। এর মধ্যেই জমতে থাকে বিপুল ঋণ। নিঃসন্তান হওয়ার যন্ত্রণা এবং তীব্র আর্থিক সংকট মিলে দমবন্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পরিবারে।

গতকাল সন্ধের পর পাওনাদাররা টাকা চাইতে বাড়িতে গেলে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। বারবার ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া না মেলে, প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। কিন্তু সেখানেও একই নীরবতা। শেষমেষ খবর যায় থানায়। নারায়ণপুর থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে, ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে মহুয়া ও তাঁর মায়ের প্রাণহীন দেহ। পাশে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সঞ্জয় দে।

দুটি দেহ ও সঞ্জয়কে দ্রুত আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরই প্রকৃত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। আপাতত তারা খতিয়ে দেখছে—এটি কেবলমাত্র আর্থিক অনটনের জেরে আত্মহত্যা, নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও গভীর কোনও রহস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts