Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • রাজ্য
  • একসঙ্গে আত্মঘাতী বাবা, মা ও বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে! সুইসাইড নোটে লেখা ‘শেষ ইচ্ছা’ শিউরে উঠবে শরীর!
রাজ্য

একসঙ্গে আত্মঘাতী বাবা, মা ও বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে! সুইসাইড নোটে লেখা ‘শেষ ইচ্ছা’ শিউরে উঠবে শরীর!

dead body m
Email :3

কসবার (Kasba) রাজডাঙায় ঘটল এক ভয়ানক ও হৃদয়বিদারক ঘটনা, যেখানে একই পরিবারের তিনজন সদস্য একসঙ্গে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন। ঘটনার পিছনে ছিল সুপরিকল্পিত প্রস্তুতি, ছিল আগাম কেনা শক্ত দড়ি, ছিল লেখা সুইসাইড নোট। সেই চিরকুটেই লেখা ছিল তাঁদের শেষ ইচ্ছা, আর অনুরোধ—তাঁদের যেন একসঙ্গেই দাহ করা হয় এবং পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কসবার (Kasba) গোল্ড পার্কের বাসিন্দা সরজিৎ ভট্টাচার্য, তাঁর স্ত্রী গার্গী ভট্টাচার্য এবং তাঁদের একমাত্র ছেলে আয়ুষ্মান ভট্টাচার্য সোমবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটার মধ্যে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। ডাইনিং হলের সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সরজিৎবাবুর দেহ, আর শোওয়ার ঘরের সিলিং থেকে ঝুলতে দেখা যায় স্ত্রী ও ছেলেকে।

তদন্তে উঠে এসেছে, দীর্ঘদিন ধরে পরিবারটি চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছিল (Kasba) । সরজিৎবাবু ছোটখাটো চাকরি করতেন, পাশাপাশি বিমার দালালি ও কিছু কাজের চেষ্টা করতেন। কিন্তু তার পাশাপাশি রেসের মাঠে খরচ করতেন নিয়মিত। ধারদেনা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, কয়েকশো টাকা ধার করে সংসার চালানোর চেষ্টা চলছিল। গার্গীদেবীর পরিবারে একজন রাজ্য পুলিশে কর্মরত আছেন (Kasba) । সেই দিক থেকে কোনওরকম সাহায্য মিললেও সমস্যা মেটেনি।

এমনকি তাঁদের একমাত্র ছেলে আয়ুষ্মান ছিল বিশেষভাবে সক্ষম। ছেলের চিকিৎসা, সংসারের দৈনন্দিন খরচ এবং দীর্ঘদিনের আর্থিক চাপ তাঁদের মনের উপর ভয়ানক প্রভাব ফেলেছিল বলে অনুমান পুলিশের (Kasba) । সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে—তাঁরা নিজের ইচ্ছায়, পরস্পরের সম্মতিতে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ঈশ্বরের কাছে নিজেদের সমর্পণ করছেন।

সেই নোটে আরও লেখা, যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি তাঁদের তিনজনের একসঙ্গে শেষকৃত্য ও পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন করেন, তবে তাঁদের আত্মা শান্তি পাবে। বর্তমানে পুলিশ হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করে দেখছে নোটটি কাদের লেখা।

ঘটনার খবর পাওয়ার পর লালবাজার থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে এবং তদন্ত শুরু হয়। পরে এক আত্মীয়া দেহ গ্রহণ করে শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন করেন। পুলিশের ধারণা, প্রথমে মা ও ছেলে আত্মঘাতী হন, পরে সরজিৎবাবু নিজের প্রাণ দেন। দেহগুলি ময়নাতদন্তের পর জানা গেছে, গলায় দড়ি দিয়েই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং সময় সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার ভোরের মধ্যে।

এই ঘটনায় গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ। কীভাবে একটা শিক্ষিত পরিবার, এত শান্তভাবে এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যকর করল, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts