খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ বাজারে রবিবার রাত ১টা নাগাদ ঘটে গেল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। দোকানপাটে তখন তালা, ব্যবসায়ীরা ঘুমিয়ে। আচমকাই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাজারে। এলাকায় ঘিঞ্জি গলি আর ঘনবসতির জন্য মুহূর্তের মধ্যে লেলিহান শিখা গ্রাস করে পুরো বাজার চত্বর। প্রায় ২০টি দমকল ইঞ্জিন রাতভর চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সকাল পর্যন্ত চলেছে ‘পকেট ফায়ার’ খোঁজার কাজ (Mamata Banerjee)।
ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী, অন্তত ১৩০০টি দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তাঁরা জানান (Mamata Banerjee)।
সোমবার সকালে বিধানসভা থেকে সোজা ঘটনাস্থলে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি(Mamata Banerjee) পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আপাতত অস্থায়ী বাজারের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, “একটা জায়গা আগে অন্য কাজে ঠিক হয়েছিল, সেখানেই আপাতত এই বাজার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। বাইরের কেউ আসবে না, এখানকার ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করবেন।”

তিনি (Mamata Banerjee) আরও জানান, সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সরাসরি অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে, যাদের দোকান পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছে, তাদের ১ লক্ষ টাকা করে ও একটি নতুন দোকান তৈরি করে দেওয়া হবে। যাদের আংশিক ক্ষতি হয়েছে, তারা ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন। তবে তার আগে পুরো বাজারে সরকারি সার্ভে শুরু হবে, এবং তদন্তে দেখা হবে কীভাবে আগুন লেগেছিল, কাদের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেন, “সিলিন্ডারগুলো মাঝে মাঝে পরীক্ষা করতে হবে, নয়তো জীবনও চলে যেতে পারে। এসি মেশিনও খতিয়ে দেখা দরকার। আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা বাজারে রাখতে হবে।”
এদিন সকালেই ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও।