চাকরি ফিরে পেতে দিনের পর দিন বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান করছেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাদের একটাই দাবি— মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) যেন নিজে এসে কথা বলেন। এই প্রসঙ্গে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) প্রশ্ন করা হলে, তার জবাবে উঠে এল সহানুভূতির সঙ্গে তির্যক বার্তা।
“আমি তো মিটিং করেই বলেছিলাম, আমরা রিভিউ আবেদন করব,” জানান (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী। “আদালতের কিছু নিয়ম আছে। বাধ্যবাধকতা মানতেই হয়। আমাদের দিক থেকে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। আদালত যদি তা গ্রহণ করে, তাহলে ভালো। কিন্তু কোর্টের সিদ্ধান্ত যদি আসে, তা মানতে আমরা বাধ্য।”
তিনি আরও দাবি করেন, এখনো পর্যন্ত কোনও শিক্ষকের বেতন বন্ধ হয়নি। এমনকি গ্রুপ-সি-তে যারা টাকা পাচ্ছেন না, তাদের জন্যও বিশেষ স্কিমের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হচ্ছে।
তবে এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। উসকানির অভিযোগ তুলে বলেন, “আমার খারাপ লাগে, যারা আজ এই আন্দোলন উসকে দিচ্ছে, তারাই একসময় এই মামলা করেছিল। চাকরিগুলো আমাদের কারণে যায়নি। যারা চাকরি খেয়েছে, তারাই যদি আজ শিক্ষকদের স্বার্থরক্ষার গুরু সাজে, তাহলে আমার আপত্তি আছে।”
তিনি মনে করিয়ে দেন, “আমি নিজে ওদের সঙ্গে মিটিং করেছি। ন্যূনতম সম্মান এবং সৌজন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সমাজসেবা করা তাদের দায়িত্ব।”
আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করলেও রাস্তায় বসে থাকা বা পথ অবরোধ নিয়ে তাঁর ক্ষোভ স্পষ্ট। “আমি কোনওভাবেই বলছি না আন্দোলন করবেন না,” বলেন তিনি। “কিন্তু আন্দোলনেরও একটা লক্ষ্মণরেখা আছে। প্রেগন্যান্ট মহিলা ১৪-১৮ ঘণ্টা আটকে, এক ছাত্রী পরীক্ষা দিতে এসে বাধা পেয়ে লাফিয়ে নেমে চোট পেয়েছে — এটা মানবিকতার অপমান।”
তিনি বলেন, “আমি চাই, এই লড়াই হোক আইনি পথে। আমরা সরকার হিসাবে পাশে আছি। কিন্তু যে রাজনৈতিক দলগুলো সুবিধা নিতে চাইছে, তাদের বলব— মামলা তো আপনারাই করেছিলেন। সেটা কি ঠিক ছিল?”