শিল্প ও ব্যবসা নিয়ে বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয় পশ্চিমবঙ্গকে। রাজ্যে শিল্পের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যবসায়ীদের মন পেতে একাধিক বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রফতানি থেকে শুরু করে বকেয়া টাকা পাওয়া পর্যন্ত, ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলেন তিনি (Mamata Banerjee)।
বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, কলকাতা এবং শিলিগুড়িতে তৈরি করা হবে ‘ট্রেড এক্সপোর্ট ফেসিলিটি সেন্টার’। এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে তাঁত, হস্তশিল্প, টেরাকোটা সহ রাজ্যের বিভিন্ন পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা (Mamata Banerjee)।
মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) আরও বলেন, রাজ্যে গড়ে তোলা হবে বিজনেস টু বিজনেস হাব। সেখানে জিআই ট্যাগ পাওয়া সমস্ত পণ্য এক ছাতার তলায় থাকবে। পাশাপাশি প্যাকেজিং, ব্র্যান্ডিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা বাজারে আরও ভালো ভাবে নিজেদের পণ্য তুলে ধরতে পারেন।
ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য রাজ্যে গঠন করা হবে ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড। এই বোর্ডের বৈঠক নিয়মিত বসবে এবং ব্যবসায়ীরা নিজেরাই তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারবেন। সেখানে সরকারি আধিকারিকরাও উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে চালু করা হবে সিঙ্গল উইন্ডো ব্যবস্থা, যাতে ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সব জেলার চেম্বারের সদস্য ও জেলাশাসকরা এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। ফলে পুরুলিয়ার কোনও ব্যবসায়ীকে সমস্যা নিয়ে কলকাতায় ছুটে আসতে হবে না, জেলাতেই সমাধান মিলবে।
এছাড়াও ঘোষণা করা হয়েছে ‘ট্রেডস পোর্টাল’। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি কাজের টাকা পেতে দেরি হওয়ায় অনেক সময় ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগ করতে পারেন না। এই পোর্টালের মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান হবে। কাজ শেষের তথ্য পোর্টালে আপলোড করলেই ৭২টি যুক্ত ব্যাঙ্ক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীদের টাকা দিয়ে দেবে। এতে ব্যবসায়ীদের কাজ আর থমকে থাকবে না বলেই আশা সরকারের।










