ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের উপর ক্রমাগত হেনস্থার অভিযোগে এবার তীব্র প্রতিবাদে শামিল হল রাজ্যের শাসকদল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই বিধানসভায় এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। এবার তাঁর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এই প্রসঙ্গ উঠে এলো জোরালোভাবে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মন্ত্রীদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন—এ নিয়ে আর চুপ করে বসে থাকলে চলবে না, এবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে গর্জে উঠতে হবে।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বাংলায় দেড় কোটির বেশি ভিনরাজ্যের মানুষ থাকেন। তাঁদের আমরা সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে রাখি। অথচ আমাদের রাজ্যের ২২ লক্ষ মানুষ যাঁরা বাইরে থাকেন, তাঁদের বাংলায় কথা বললেই অপমান, এমনকি বাংলাদেশি বলে তকমা দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে!” তিনি আরও বলেন, “এটা মেনে নেওয়া যায় না। প্রতিটি মন্ত্রীকে নিজের নিজের এলাকায় এই বিষয়ে জনমত গড়ে তুলতে হবে।”
তৃণমূলের দাবি, একাধিক ভিনরাজ্যে শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার অপরাধে বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এমনকি দিল্লির বসন্তকুঞ্জে বাংলাভাষী বেশ কয়েকজনকে আটক করার অভিযোগও তুলেছে ঘাসফুল শিবির। সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতেই সম্প্রতি তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গিয়ে দেখা করেন জয় হিন্দ কলোনিতে বসবাসকারী বাঙালিদের সঙ্গে।
এই আবেগঘন পরিস্থিতিতে বাংলার ‘ভাষা ও অস্মিতাকে’ সামনে রেখেই ১৬ জুলাই কলকাতার রাস্তায় নামছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) নিজে। কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত বিশাল মিছিলে পা মেলাবেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই সিদ্ধান্তের পর রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাঙালি পরিচয়ের ইস্যুকে আরও জোরদার হাতিয়ার করতে চলেছে তৃণমূল।
