ভিনরাজ্যে বাঙালি বাসিন্দাদের হেনস্থার প্রতিবাদে ফের রাজপথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ধর্মতলার জনসভা থেকে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। ভাষণ জুড়ে ছিল রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া বার্তা (Mamata Banerjee)।
শুধু পরিযায়ী বাঙালিদের নিরাপত্তা নিয়েই নয়, এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ নিয়েও তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, “কে কী খাবে, আপনি ঠিক করবেন? কে শিঙাড়া খাবে, কে সামোশা খাবে, কে জিলিপি খাবে, কে পোহা খাবে—এতদিন ধরে তো শুনিনি এত কিছু। এখন তো দেখি যা ইচ্ছা বলছে, যা ইচ্ছা করছে। নাক গলানোর ওস্তাদ হয়ে গেছে!”
তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, বিজেপি শুধু প্রশাসনের নয়, ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটিও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে (Mamata Banerjee)। ধর্মতলার সভা থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আজকাল ছোট নেতারা বড় নেতার চেয়ে বড় হয়ে গেছে। তারা ঠিক করে দিচ্ছে, আমরা কী খাব, কী পরব, কী বলব। এসব চলতে দেওয়া যায় না।”
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) এই মন্তব্যের পেছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিক একটি নির্দেশিকা। খবর অনুযায়ী, সমস্ত কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, তাদের ক্যান্টিনে ‘অস্বাস্থ্যকর খাবার’—যেমন জিলিপি, শিঙাড়া, সামোশা, হালুয়া ইত্যাদি—নিয়ে সতর্কতা জারি করতে হবে। ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের জানাতে হবে, এই খাবারে কতটা চিনি, ক্যালোরি ও ট্রান্স-ফ্যাট রয়েছে। পাশাপাশি, ক্যান্টিনে এই তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক পোস্টার ঝুলানোর কথাও বলা হয়েছে।
যদিও ওই নির্দেশিকায় এমন খাবার বিক্রির উপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি, তবুও বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক ছড়িয়েছে। আর সেই সুযোগেই বিজেপির ‘অতিসক্রিয়তা’কে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
তিনি স্পষ্ট বার্তায় বলেন, “এতদিন তো খাবারের স্বাধীনতা ছিল। এখন তার ওপরেও নজরদারি চলছে। কেন্দ্র যা করছে, তা গণতন্ত্রে নয়, স্বৈরতন্ত্রে হয়!”