Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • “বাংলা ভাষা বললেই গ্রেফতার? লজ্জা হওয়া উচিত বিজেপির”—দিল্লিকে খোলা চ্যালেঞ্জ তৃণমূল সুপ্রিমোর!
রাজ্য

“বাংলা ভাষা বললেই গ্রেফতার? লজ্জা হওয়া উচিত বিজেপির”—দিল্লিকে খোলা চ্যালেঞ্জ তৃণমূল সুপ্রিমোর!

mamata banerjee s
Email :3

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বাঙালি আবেগের রাজনীতি। আর সেই আবেগে কার্যত শান দিতে এবার ময়দানে নেমে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পরিযায়ী বাঙালি শ্রমিকদের নিয়ে বিজেপির ভূমিকা ও কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরেই সরব হচ্ছেন তৃণমূল নেতারা (Mamata Banerjee)। সেই সুরেই এবার একযোগে পথে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় ধর্মতলার সভামঞ্চে উঠে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। ভাষণের শুরুতেই তাঁর কণ্ঠে ছিল বেদনার সুর—“ভারত সরকার ও বিজেপির আচরণে আমি অত্যন্ত দুঃখিত, লজ্জিত, ব্যথিত।” তিনি অভিযোগ করেন, বাংলা ভাষায় কথা বললেই পরিযায়ী শ্রমিকদের সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের ছক কষেছে কেন্দ্র (Mamata Banerjee)।

মমতার কথায়, “আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিদিন অভিযোগ পাচ্ছি। দেখছি কীভাবে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে। আর এটা হচ্ছে একটা গোপন নোটিফিকেশনের মাধ্যমে। বিজেপি সরকার সেটি লুকিয়ে লুকিয়ে করেছে, নিজেদের রাজ্যগুলোতে পাঠিয়েছে। সেই নোটিফিকেশনে লেখা আছে, যদি কেউ বাংলা ভাষায় কথা বলে—তাকে সন্দেহজনক মনে করলে গ্রেফতার করে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো যাবে।”

তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “এমনকী কেউ যদি আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যায়, সেক্ষেত্রেও তার ওপর এই নিয়ম খাটবে। বাংলা ভাষা বললেই তাকে বাংলাদেশি কিংবা রোহিঙ্গা বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে?” এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে কটাক্ষের সুরে বলেন, “দিল্লিওয়ালারা কি ভাবছেন, আপনারাই দেশের জমিদার? যাকে খুশি যেখানে পাঠিয়ে দেবেন, যাকে খুশি বাংলাদেশি বানিয়ে দেবেন? এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

তাঁর ভাষণের সবচেয়ে তীব্র অংশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একটা প্রবাদ আছে না—বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়, শাড়ির চেয়ে গামছা, মন্ত্রীর চেয়ে আমলা বড়, আর নেতার চেয়ে বড় চামচা! ঠিক সেইরকম ভাবেই আজ দেশের প্রশাসন চলছে। কিন্তু বাঙালির উপর যদি কোনও অত্যাচার হয়, আমরা কিন্তু ছেড়ে দেব না। বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতি, বাংলার গরিব পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেললে তার জবাব দেব আমরা।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে পরিযায়ী বাঙালিদের কেন্দ্র করে আবেগকে রাজনৈতিকভাবে অস্ত্র বানাতে চাইছে তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে বাঙালি পরিচয় ও ভাষা-সংস্কৃতির অপমানের অভিযোগ তুলে ভোটের লড়াইয়ে এক নতুন ছন্দে ময়দান গড়ছেন মমতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts