Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • আড়াইশোর বেশি আসন পাবে তৃণমূল!’—বিহার জয়ের পর বিজেপিকে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের
রাজ্য

আড়াইশোর বেশি আসন পাবে তৃণমূল!’—বিহার জয়ের পর বিজেপিকে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের

kunal ghosh
Email :2

আর কয়েক মাস পরই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগে বিহারের ভোটে এনডিএ–র দাপুটে জয়ের পর থেকেই উচ্ছ্বসিত বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, বিহারের ফলেই এখন স্পষ্ট—এবার পালা বাংলার। বিজেপি নেতারা বলতে শুরু করেছেন, বাংলায় মাটির হাওয়া বদলে গিয়েছে, এনডিএ–র জয় নাকি বাংলাতেও গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত। কিন্তু তৃণমূলের রাজ্যসাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ফের মনে করিয়ে দিলেন, বাংলার মাটি বিহারের মতো নয়, বাংলার রাজনৈতিক চরিত্র আলাদা, তাই বিহারের ফলের সঙ্গে বাংলার তুলনা করে ভুল করছে বিজেপি।

বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের পর ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাতেও ইতিমধ্যে সেই এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, এসআইআর শেষ হলেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বিহারে এনডিএ এগিয়ে যাওয়া মাত্রই বিজেপি নেতা অর্জুন সিং দাবি করেন, বাংলাতেও এই ফলের সরাসরি প্রভাব পড়বে। কিন্তু কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বাংলার রাজনৈতিক বাস্তবতা আলাদা।

তিনি (Kunal Ghosh) সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, বিহারের ভোট বাংলায় কোনও প্রভাব ফেলবে না, কারণ বাংলায় সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর উন্নয়ন, ঐক্য, সম্প্রীতি, মানুষের অধিকার এবং আত্মসম্মান। তাঁর দাবি, দুইশোরও বেশি আসন নিয়ে পরেরবারও মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ তোলেন, বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়াকে ঘিরে বিজেপি এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশন নানা চক্রান্ত করতে পারে। কেন্দ্রীয় সংস্থা ও প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার হবে বলেও মনে করেন তিনি। কুণালের দাবি, তৃণমূল ইতিমধ্যেই মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগে নেমেছে এবং বিজেপির সমস্ত চক্রান্তকে রাস্তায় রাস্তায় প্রতিরোধ করবে।

এদিন কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করতে ভোলেননি কুণাল। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস বারবার প্রমাণ করছে তারা বিজেপি বিরোধিতায় ব্যর্থ। তাঁর ইঙ্গিত, বিরোধী জোটে ঢিলেমি ঢুকিয়ে বিজেপির সুবিধাই করে দিচ্ছে কংগ্রেস।

কয়েক মাস বাদেই রাজ্যে ভোটের বাজি। বিজেপি বিহারের ফলকে হাতিয়ার করে বাংলায় নতুন সমীকরণ তৈরির চেষ্টা করছে (Kunal Ghosh)। আর তৃণমূল পাল্টা বলছে, বাংলায় উন্নয়নের রাজনীতি ও মানুষের আবেগই শেষ কথা, বাইরের রাজ্যের হাওয়া এখানে প্রভাব ফেলবে না। এখন দেখার, বিহারের ফলের ঢেউ গেরুয়া শিবিরকে কতটা উজ্জীবিত করে এবং তৃণমূল আবার কতটা শক্তভাবে তা ঠেকাতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts