কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল থাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন শিক্ষকরা। বাতিল হয়ে গিয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চের আগের নির্দেশ। রায় ঘোষণার পর থেকেই উচ্ছ্বাসে মেতেছেন চাকরিহারা হওয়ার আশঙ্কায় থাকা শিক্ষকরা। তাঁদের অনেকেরই একটাই কথা, অবশেষে সত্যের জয় হল (Kunal Ghosh)।
তবে এই রায়কে ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। বাম নেতা ও বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, চাকরি বাঁচলেও দিনের শেষে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির প্রশ্নে বিভ্রান্তি থেকেই গেল। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ফের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করেছেন। তিনি আবারও ‘সিপিএম-বিজেপি যোগ’ নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন ।
এই আবহে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন। সমাজমাধ্যমে বিরোধীদের কড়া আক্রমণ করে কুণাল লেখেন, চাকরি খাওয়ার রাজনীতির চক্রান্ত প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, কোথাও অনিয়ম হলে অবশ্যই তদন্ত হোক, ব্যবস্থা নেওয়া হোক, কিন্তু তার জন্য সকলের চাকরি কেড়ে নিয়ে রাজনীতি করা অনৈতিক।
কুণালের (Kunal Ghosh) অভিযোগ, বিচারপতির চেয়ারে বসে রাজনীতির ইস্যু তৈরি করে পরে সাংসদ হওয়া ব্যক্তি হিসাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা তদন্তের আওতায় আনা উচিত। তাঁর মতে, বিচারব্যবস্থার মর্যাদা রক্ষার স্বার্থেই আদালত স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই বিষয়ে মামলা শুরু করতে পারে।
একদিকে শিক্ষকরা যখন চাকরি ফেরার আনন্দে ভাসছেন, অন্যদিকে এই রায়কে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে।







