দক্ষিণ কলকাতার (Kolkata) রাসবিহারীতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। প্রাণোচ্ছ্বল, মেধাবী, স্বাভাবিক এক কিশোর হঠাৎ করেই মানসিক অবসাদের অন্ধকারে ডুবে গিয়ে নিজের জীবনই শেষ করে দিল। আত্মঘাতী হল বছর ১৬-র শৌর্য সরকার, যিনি এক বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন (Kolkata)।
শৌর্যের পরিবারে তাঁর বাবা কলকাতা পুলিশের একজন অফিসার এবং মা একজন স্কুল শিক্ষিকা (Kolkata)। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শৌর্য কিছুদিন ধরে আচমকা মানসিক অবসাদে ভুগছিল (Kolkata)। শুরুতে এমন কোনও অস্বাভাবিক লক্ষণ ছিল না, তবে ধীরে ধীরে তাঁর মনোভাব বদলে যেতে শুরু করে। বিষয়টি বাবা-মায়ের নজরে আসার পরই তাঁরা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেন ।
তবুও, চিকিৎসা আর কাউন্সেলিং কোনও কিছুই শেষরক্ষা করতে পারল না । রবিবার রাতে নিজের ঘরে ঘুমাতে গিয়েছিল শৌর্য (Kolkata)। কিন্তু সোমবার ভোরবেলায় ঘরে ঢুকে বাবা-মা দেখতে পান, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে তাঁদের একমাত্র সন্তানের নিথর দেহ। তাঁর গলায় মায়ের শাড়ির ফাঁস।
পরিবার সঙ্গে সঙ্গে তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। শৌর্যর মৃত্যু হয়েছে আগেই। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সত্যতা জানা যাবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ।
এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষক-বন্ধুরা স্তম্ভিত। পরিবারও ভেঙে পড়েছে। কেন এই প্রতিভাবান কিশোর এমন সিদ্ধান্ত নিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মানসিক অবসাদ, পড়াশোনার চাপ, কিংবা অন্য কোনও কারণ – সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।