সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে ভয়াবহ কাণ্ড খাস কলকাতার (Kolkata) বুকে। প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করার পর চারতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিলেন এক যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত তরুণী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পোস্তা থানার শিবঠাকুর লেন এলাকায় (Kolkata)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবঠাকুর লেনের বাসিন্দা শিখা সিংহ। প্রায় দু’বছর আগে তাঁর স্বামী দীপু সিংহের মৃত্যু হয় (Kolkata)। বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার চালান তিনি। স্বামী বেঁচে থাকাকালীনই জগমোহন মল্লিক লেনের বাসিন্দা রাজেন্দ্র শর্মার সঙ্গে শিখার পরিচয় হয়। দীপুর মৃত্যুর পর সেই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে এবং পরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দু’জন (Kolkata)।
সূত্রের খবর, কিছুদিন ধরেই বিয়ে নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি চলছিল। শিখা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে রাজেন্দ্রর কোনও স্থায়ী রোজগার না থাকায় তিনি বিয়েতে রাজি ছিলেন না। এই নিয়েই দু’জনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল।
মঙ্গলবার সকালে শিখা বাড়িতে একাই ছিলেন (Kolkata)। সেই সময় রাজেন্দ্র সেখানে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির ভিতর থেকে চিৎকার শুনতে পান প্রতিবেশীরা। ছুটে গিয়ে তাঁরা দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছেন শিখা। একই সময়ে রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত রাজেন্দ্রকে ছটফট করতে দেখেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ এসে দু’জনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা রাজেন্দ্রকে মৃত ঘোষণা করেন। শিখার চিকিৎসা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিয়ে নিয়ে তীব্র বচসার মধ্যেই রাজেন্দ্র ছুরি দিয়ে শিখাকে এলোপাথাড়ি কোপান। এরপরই তিনি চারতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেন। তবে ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।












