উল্টোরথ উপলক্ষে উৎসবের আমেজে সেজে উঠেছে সমুদ্রতটের দিঘা থেকে কলকাতার ইসকন মন্দির, পুরী থেকে শ্রীরামপুরের মাহেশ। অন্যদিকে, রাত পোহালেই মহরম—শহরজুড়ে পালিত হবে শোক ও ত্যাগের বার্তা। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উপলক্ষ ঘিরে শহর কলকাতায় গা ছমছমে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে পুলিশ (Kolkata Police)।
লালবাজার সূত্রে জানা গেছে, শহরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় ৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে (Kolkata Police)। মহরমের শোভাযাত্রাগুলিতে যে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে শোভাযাত্রার সামনে ও পিছনে আলাদা করে মোতায়েন থাকছে পুলিশ (Kolkata Police)। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়, এলাকা এবং জনবহুল স্থানগুলিতে বসানো হচ্ছে পুলিশ পিকেট।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন সব ডিভিশনের ডিসি, এসি সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁদের তদারকিতে চলছে টহল (Kolkata Police), নজরদারি ও মনিটরিং। শুধু যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ নয়, শহরের সামগ্রিক নিরাপত্তাকেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লালবাজারের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা।
অন্যদিকে, উল্টোরথ উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে উৎসবের আবহ। সকাল থেকেই দিঘা, মাহেশ, কলকাতার ইসকন মন্দিরে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। রথ টানার আগাম উত্তেজনায় উৎসুক জনতার অপেক্ষা। দিঘা সমুদ্রতটে সকাল থেকে বাড়ছে মানুষের ভিড়, রথের দড়িতে টান দিতে মুখিয়ে ভক্তরা। কলকাতার ইসকনে একই ছবি—উৎসবে রঙ ছড়াচ্ছে গান, কীর্তন ও প্রসাদ বিতরণ।
শ্রীরামপুরের ঐতিহ্যবাহী মাহেশ রথযাত্রা ঘিরেও রয়েছে বিশেষ সাজ-সরঞ্জাম। এলাকাজুড়ে উৎসবের প্রস্তুতি সকাল থেকেই দৃশ্যমান। অন্যদিকে পুরীতেও দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়, রথের রঙিন কাঠামোর পাশে মানুষের শ্রদ্ধা আর উৎসব মিলেমিশে একাকার।
একদিকে ধর্মীয় উৎসব, অন্যদিকে ত্যাগের শোকের দিন—দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষে শহরজুড়ে নজিরবিহীন প্রস্তুতি প্রশাসনের। প্রশ্ন একটাই—সব কিছু শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে তো?