Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ফোর্ট উইলিয়ামের জওয়ান বনাম কলকাতা পুলিশ—মেয়ো রোডের পর ফের সংঘাত?
রাজ্য

ফোর্ট উইলিয়ামের জওয়ান বনাম কলকাতা পুলিশ—মেয়ো রোডের পর ফের সংঘাত?

army truck q
Email :13

কলকাতার বুকে সেনা আর পুলিশের (Kolkata Police) মধ্যে সোমবার তৈরি হলো উত্তেজনার আবহ। ফোর্ট উইলিয়াম থেকে বেরোনো সেনার একটি ট্রাক থামিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ। ঘটনাস্থল ছিল রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সামনে, যেখানে এক মুহূর্তেই ভিড় জমে যায়, চমকে তাকিয়ে থাকেন পথচারীরা (Kolkata Police)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা ট্রাকটি আটকায় কারণ সেটি নাকি বিপজ্জনকভাবে চলছিল এবং ট্রাফিক সিগন্যাল মানেনি (Kolkata Police)। দ্রুত খবর দেওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। প্রশ্ন উঠছে—সেনার গাড়িকে হঠাৎ আটকালো কেন পুলিশ?

ঘটনার আরেকটি দিকও সামনে আসে। জানা গেছে, সেনার ট্রাকটির পিছনেই ছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার গাড়ি (Kolkata Police)। সোজা লালবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন সিপি। অভিযোগ, ট্রাকটি হঠাৎ করে রাইট টার্ন নেয়, যেখানে ‘নো-রাইট টার্ন’ বোর্ড স্পষ্টভাবে বসানো ছিল। সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়ে, সিপির গাড়ি একেবারে ঘেঁষে বেরিয়ে যায় সেনার ট্রাকের পাশ দিয়ে।

তবে সেনার তরফে এই অভিযোগ মানা হয়নি। ঘটনাস্থলে থাকা এক জওয়ান বলেন, “আমরা জানতামই না যে সিপির গাড়ি আমাদের পিছনে ছিল। ট্রাক খুব ধীরে যাচ্ছিল। রেড লাইট ছিল ঠিকই, কিন্তু আমরা তো অন্যদিকে যাচ্ছিলাম। বিভাজনটা বোঝা যায়নি।”

এদিকে, পুলিশ কমিশনারের গাড়ির কাছাকাছি ট্রাক চলে আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা। উত্তেজনা আরও বাড়ে যখন সেনা জওয়ানরা দাবি করেন—তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ফোর্ট উইলিয়ামের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছান দুই সেনা আধিকারিক। এরপর হেয়ার স্ট্রিট থানায় বসে পুলিশ ও সেনার মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts