দিল্লির রেড ফোর্টের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চরম সতর্কতা কলকাতায় (Delhi Blast Alert)। সোমবার রাতেই শহরজুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। সূত্রের খবর, কলকাতার সবকটি থানাকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে কলকাতা মেট্রো ও মেট্রো সংলগ্ন এলাকাগুলিতে (Delhi Blast Alert)। যাত্রীদের ব্যাগ পরীক্ষা থেকে শুরু করে প্রবেশ ও প্রস্থান গেটের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দিল্লিতে পরপর তিনটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও বহু আহত। ঘটনাস্থলের পাশেই ছিল জৈন মন্দির ও উমাশঙ্কর মন্দির— ফলে সন্দেহ করা হচ্ছে, এই দুই ধর্মীয় স্থাপনাই হামলাকারীদের টার্গেট ছিল (Delhi Blast Alert)। এই ঘটনার পরেই দেশের সব বড় শহরের পাশাপাশি কলকাতাতেও জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু কলকাতাই নয় (Delhi Blast Alert)— রাজ্যের সমস্ত জেলার পুলিশ সুপার ও থানাগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে নাকা চেকিং এবং রাতভর পেট্রোলিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরের সব প্রবেশ ও প্রস্থান পথ, যেমন দমদম, হাওড়া, সাঁতরাগাছি, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে— সর্বত্র বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। সিসিটিভি পর্যবেক্ষণও জোরদার করা হয়েছে।
কলকাতা মেট্রোর (Delhi Blast Alert) এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তাই এখন অগ্রাধিকার। অতিরিক্ত RPF এবং স্নিফার ডগ মোতায়েন করা হয়েছে।” কলকাতা বিমানবন্দরেও একইভাবে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, “দিল্লিতে যে মাত্রার বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা গোটা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ইঙ্গিত (Delhi Blast Alert)। তাই কোনও ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না।”
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ দিল্লির লালকেল্লার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি গাড়িতে পরপর বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গাড়ি, অটো ও বাইকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অন্তত ১০ জনের। বহু আহতকে ভর্তি করা হয়েছে দিল্লির একাধিক হাসপাতালে।
দিল্লির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতায় আতঙ্ক ছড়ালেও প্রশাসন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত শহরে কোনও বিশেষ হুমকি পাওয়া যায়নি। তবুও “প্রতিরোধই নিরাপত্তার মূলমন্ত্র”— সেই কারণে রাতভর তল্লাশি, নজরদারি ও পেট্রোলিং চালানো হচ্ছে।
রাজ্য জুড়ে তৈরি হয়েছে সতর্ক পরিবেশ। মন্দির, স্টেশন, বাজার, মল এবং অন্যান্য ব্যস্ত জায়গায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশি উপস্থিতি। শহরবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।













