Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • সাতসকালে আগুনে কেঁপে উঠল কলকাতা—একশোর বেশি দোকান ছাই!
রাজ্য

সাতসকালে আগুনে কেঁপে উঠল কলকাতা—একশোর বেশি দোকান ছাই!

fire
Email :11

সাতসকালে কাঁপল বড়বাজার। ঘিঞ্জি এলাকার মাঝেই হঠাৎ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire breaks out)। শনিবার, ১৫ নভেম্বর ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এজরা স্ট্রিটের ১৭ নম্বর বাড়িতে থাকা একটি ইলেকট্রিক সামগ্রীর দোকানের দ্বিতীয় তল থেকে আচমকাই আগুন বেরোতে দেখা যায় (Fire breaks out)। মুহূর্তে ধোঁয়া উঠে ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ঘুম থেকে উঠেই স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে আগুন এতটাই ফুলে-ফেঁপে ওঠে যে তারা দমকলে খবর দেন (Fire breaks out)।

শুরুতে ছ’টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। কিন্তু দোকানের ভিতরে মজুত থাকা প্রচুর ইলেকট্রিক সরঞ্জাম, তার, এসি, মোটর—সব একসঙ্গে দাউদাউ করে জ্বলতে (Fire breaks out) থাকায় পরিস্থিতি দ্রুত ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ইলেকট্রিক সামগ্রী একের পর এক দুমদাম শব্দে ফাটতে থাকে, ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে পাশের বিল্ডিংগুলিতে। দমকলের কর্মীরা প্রাণপণে লড়াই করলেও বিল্ডিংয়ের ঘিঞ্জি অবস্থান, সরু গলি আর টিনের ছাদের কারণে তাঁরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। গলির দুই দিক থেকে জল ছিটিয়ে আগুন ঠান্ডা করার চেষ্টা চলতে থাকে (Fire breaks out)।

যে দোকানটিতে প্রথম আগুন লাগে সেটি সম্পূর্ণভাবে আগুনের গ্রাসে চলে যায়। বিপদের আশঙ্কা সত্যি করে উল্টোদিকের বিল্ডিংয়েও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে একতলায় আগুন দেখা গেলেও মুহূর্তে তা চার-পাঁচতলা পেরিয়ে ছাদ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় পরপর সিলিন্ডার ফাটার শব্দ ভেসে আসে। আশেপাশের বাড়িগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দমকলকর্মীরা কোনওমতে পাশের ছাদে উঠে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন, কিন্তু দোকানের মধ্যভাগে আগুন এতটাই দাপট দেখাচ্ছিল যে তা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত অন্যান্য অংশ ঠান্ডা করা সম্ভব হচ্ছিল না।

শেষ পর্যন্ত ২৪টি দমকলের ইঞ্জিনের প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার লড়াইয়ের পরে সকাল দশটা নাগাদ আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে একশোরও বেশি দোকান ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত। বড়বাজারের ঘিঞ্জি এলাকায় এমন বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয়দের মধ্যে। এখনও কাউকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। দমকল ঘটনার উৎস এবং ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ খতিয়ে দেখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts