Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ফের টাকার পাহাড়! তারাতলায় অফিস থেকে ১.৫ কোটি, লেকটাউন ফ্ল্যাটে মিলল ১০ কেজি সোনা
রাজ্য

ফের টাকার পাহাড়! তারাতলায় অফিস থেকে ১.৫ কোটি, লেকটাউন ফ্ল্যাটে মিলল ১০ কেজি সোনা

ed raid
Email :3

ফের কলকাতায় টাকার পাহাড়! রাজ্যজুড়ে ফের একবার পুর নিয়োগ দুর্নীতির গন্ধে সরগরম রাজনীতি। বুধবার সকালে তারাতলার এক ব্যবসায়ীর অফিসে ইডির হানায় (ED Raid) উদ্ধার হল প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রেডিয়েন্ট এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থার দফতরে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ED Raid)। টাকার গোছা গোছা বান্ডিল বেরিয়ে আসে অফিসের গোপন ভাঁড়ারঘর থেকে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই টাকা পুর নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।

ইডি (ED Raid) সূত্রে খবর, টাকাগুলো প্লাস্টিকে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল, যাতে সহজে নজরে না আসে। সংস্থার অ্যাকাউন্টে ওই বিপুল টাকার কোনও হদিস মেলেনি। ফলে অনুমান, কালো টাকাই সাদা করার চেষ্টা চলছিল ওই ব্যবসায়ীর মাধ্যমে। ইডি-র আধিকারিকরা সেই সংস্থার সমস্ত হিসাবপত্র, কম্পিউটার ও ডিজিটাল ডকুমেন্ট বাজেয়াপ্ত করেছেন (ED Raid)।

এতেই শেষ নয়, একইসঙ্গে ইডি পৌঁছে যায় ওই ব্যবসায়ীর লেকটাউনের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটেও। সেখানেও শুরু হয় একযোগে তল্লাশি। কিছুক্ষণের মধ্যেই মেলে সাফল্য— উদ্ধার হয় ১০ কেজির বেশি সোনা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার (ED Raid)। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই সোনার বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটিরও বেশি। সোনা উদ্ধার হলেও, তার কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যরা।

ইডির দাবি, “এটি একটি বড় চক্র, যার সূত্র পুর নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।” অর্থাৎ, রাজ্যের পুর দফতরের বিভিন্ন নিয়োগে যে অর্থ লেনদেন হয়েছে, তারই একাংশ এই সংস্থার মাধ্যমে ঘোরানো হচ্ছিল।

অন্যদিকে, ব্যবসায়ীর পরিবার(ED Raid) কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ইডি সূত্রে জানা গেছে, তল্লাশি এখনও চলছে, এবং আরও বিপুল অঙ্কের নগদ বা মূল্যবান সামগ্রী উদ্ধার হতে পারে।

সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ী এক প্রভাবশালী রাজ্য মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। তবে সেই মন্ত্রীর নাম এখনও প্রকাশ্যে আনেনি ইডি। যদিও রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই জল্পনা তুঙ্গে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “যাদের ছত্রছায়ায় এত টাকা ঘোরে, তারা একদিন ধরা পড়বেই। ইডি ঠিক জায়গায় হাত দিয়েছে।”

অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে পাল্টা মন্তব্য, “বিজেপি-নির্দেশে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চালানো হচ্ছে। পুর নিয়োগে দুর্নীতি প্রমাণ হয়নি, তবুও বারবার হানা দিয়ে শিরোনাম তৈরি করা হচ্ছে।”

কলকাতার রাজনীতিতে এই ঘটনায় ফের ছড়িয়েছে আলোড়ন। সাধারণ মানুষের মুখে একটাই প্রশ্ন— “আবার কত টাকার পাহাড় লুকিয়ে আছে শহরের ঘরে ঘরে?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts