Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল শহর! রাজপথে বিজেপি বনাম পুলিশ—ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল, তীব্র ধস্তাধস্তি!
রাজ্য

ধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল শহর! রাজপথে বিজেপি বনাম পুলিশ—ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল, তীব্র ধস্তাধস্তি!

bjp kasba case
Email :11

ল কলেজ ছাত্রী নির্যাতনকাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা (Kolkata)। শনিবার কসবা থানা পরিণত হয় কার্যত রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রস্থলে। রাজপথে মুখোমুখি অবস্থান নেয় কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ এবং বিজেপি। একদিকে কসবা থানার সামনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। অন্যদিকে, বিজেপি সরাসরি পথে নামিয়ে দেয় দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে (Kolkata)।

দুপুর নাগাদ গড়িয়াহাট মোড়ে (Kolkata) বিজেপির ডাকা বিক্ষোভ সভায় নেতৃত্ব দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও অনুপম ভট্টাচার্যের মতো নেতারাও। তাঁরা ঘোষণা করেন, কসবা থানার দিকে অভিযানে যাবেন। তখন থেকেই গড়িয়াহাট এলাকায় শুরু হয় উত্তেজনা। পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, কোনও বেআইনি জমায়েতকে অনুমতি দেওয়া হবে না (Kolkata)। কিন্তু বিজেপি কর্মীরা সেই নির্দেশ মানতে নারাজ। পুলিশ ব্যারিকেড উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করে তাঁরা। মুহূর্তে রাস্তায় শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, ধস্তাধস্তি।

কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই গার্ডরেল সরিয়ে কসবার দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা (Kolkata)। পুলিশ তাঁদের আটকে দেওয়ার জন্য সক্রিয় হয়। পুরোদমে মোতায়েন হয় মহিলা পুলিশও, যাঁরা মহিলা বিজেপি কর্মীদের আটকাতে শুরু করেন। প্রায় যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয় গড়িয়াহাট চত্বর।

সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশ ঘিরে ফেললেও তিনি থামেননি। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, “এখানে ১৪৪ ধারা নেই, তাহলে আমাদের আটকানো হচ্ছে কেন? আমরা কোনও অপরাধ করিনি। গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।” পাল্টা জবাব দেন পুলিশ আধিকারিকরা, “অনুমতি ছাড়া জমায়েত করেছেন, ব্যারিকেড ভেঙেছেন—আইনভঙ্গ করেছেন। আপনাদের গ্রেফতার করতেই হবে।”

এই নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে আরও এক ধাপ এগিয়ে আক্রমণ করেন সুকান্ত। বলেন, “আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেই যে এদের কাছে গুরুত্ব পাব, সেটা নয়। এরা তো কেন্দ্রীয় সরকারকেই মানে না। বরং ইউনূসের মন্ত্রী হলে হয়তো বেশি কদর পেতাম।” তাঁর মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের আগুন।

বিজেপি কর্মীরা যাতে থানা অভিযান করতে না পারেন, তার জন্য কসবা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গলিগলি পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। যেন কোনওভাবেই সংগঠিত হয়ে না উঠতে পারেন বিজেপি সমর্থকরা। কিন্তু তাতেও থামছে না প্রতিবাদ। রাজ্যজুড়ে ক্রমেই বেড়ে চলেছে উত্তাপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts