Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • রাজ্য
  • কলকাতায় ধরা পড়ল বাংলাদেশি মডেল! হাতে আধার-ভোটার কার্ড—কীভাবে পেল? রইল বিস্ফোরক রহস্য!
রাজ্য

কলকাতায় ধরা পড়ল বাংলাদেশি মডেল! হাতে আধার-ভোটার কার্ড—কীভাবে পেল? রইল বিস্ফোরক রহস্য!

bangladeshi model
Email :4

কলকাতার (Kolkata) বুকে ধরা পড়লেন এক বাংলাদেশি মহিলা, যার পরিচয় ঘিরে ইতিমধ্যেই তীব্র রহস্য তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম শান্তা পাল, এবং তিনি বাংলাদেশের একাধিক নামী ব্র্যান্ডের হয়ে মডেলিং করতেন। ধৃতের বিরুদ্ধে উঠছে ভয়ঙ্কর প্রতারণার অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে—এক বিদেশি নাগরিকের হাতে ভারতের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, এমনকি রেশন কার্ডই বা এল কীভাবে (Kolkata)?

সূত্রের খবর, শান্তা কলকাতার (Kolkata) যাদবপুর থানা এলাকার বিজয়গড়ে ২০২৩ সাল থেকে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করে থাকতেন তিনি। এমনকী, সম্প্রতি ঠাকুরপুকুর থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগও দায়ের করেন এই মহিলা (Kolkata)। সেখানেও উল্লেখ করেছিলেন অন্য একটি ঠিকানা।

সবকিছু ঠিকঠাক চললেও, শেষমেশ অ্যাপ ক্যাবের ব্যবসা করতে গিয়েই পুলিশের নজরে চলে আসেন তিনি। পুলিশ শান্তার বিরুদ্ধে নানা অসঙ্গতির সন্ধান পায়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য (Kolkata)।

তদন্তকারীদের হাতে ধরা পড়ে একাধিক বাংলাদেশি পাসপোর্ট, মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, এমনকি একটি বিমানসংস্থার আইডেন্টিটি কার্ড। এখানেই পুলিশের সন্দেহ তীব্রতর হয়—এক ব্যক্তি কীভাবে এতগুলি ঠিকানা ব্যবহার করতে পারেন? আর একজন বিদেশির কাছেই বা কীভাবে এলো ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র (Kolkata)?

কলকাতা (Kolkata) পুলিশের তরফে তদন্তে জানা যায়, শান্তার কাছে একটি বৈধ আধার কার্ড, একটি ভোটার কার্ড ও একটি রেশন কার্ড রয়েছে। তবে এই সব পরিচয়পত্র কীভাবে সংগ্রহ করেছেন, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। শান্তার কাছ থেকে মেলা নথি আদৌ আসল কি না, তা যাচাই করতেই UIDAI-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে লালবাজার। পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনের কাছেও পাঠানো হয়েছে বিস্তারিত তথ্য—কোন কাগজপত্র জমা দিয়ে এই ভোটার কার্ড হাতে পেয়েছেন শান্তা, তা জানতেই এই পদক্ষেপ।

এছাড়াও, খাদ্য দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে, কারণ রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য কী প্রমাণপত্র তিনি ব্যবহার করেছিলেন, তাও এখন তদন্তের আওতায়।

শান্তা আদৌ একা এই জালিয়াতির জাল তৈরি করেছিলেন, না কি এর নেপথ্যে রয়েছে বড় কোনও চক্র—সেই দিকেও নজর রেখেছে কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনও বেআইনি অভিবাসন চক্র বা জাল নথি সরবরাহকারী গ্যাং যুক্ত কি না, তা নিয়েও জোরালো তদন্ত শুরু হয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts