ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের উত্তাপ যদিও কিছুটা প্রশমিত, তবুও কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata) রাতের অন্ধকারে হঠাৎ করেই নামল আধাসেনা, রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনী ও এনএসজি। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) শনিবার রাতে চলল হাই অ্যালার্ট মহড়া, যা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, রাত ৯টা ৩৪ মিনিটে শুরু হয় এক ভয়াবহ সিচুয়েশন তৈরি করে ছিনতাইয়ের অনুশীলন (Kolkata Airport)। কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী NSG (ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড)-এর নেতৃত্বে এই পূর্ণাঙ্গ মহড়ায় অংশ নেয় এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (AAI), CISF, ATC, রাজ্য পুলিশ, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও কলকাতা বিমানবন্দরের একাধিক বিমান সংস্থা (Kolkata Airport)।
একটি A320 বিমানে বসানো হয় ৭৫ জন ‘ডামি’ যাত্রী। তৈরি করা হয় এমন এক পরিস্থিতি, যেখানে ওই বিমান ছিনতাই হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় এনএসজি টাস্ক ফোর্সের অভিযান (Kolkata Airport)। দমদার ও সুচারুভাবে তারা ‘ছিনতাইকারীদের’ খতম করে এবং যাত্রীদের ‘উদ্ধার’ করে।
তবে শুধু ছিনতাই রোধ নয়, মহড়ার আরেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল AAI-এর দফতরে সন্ত্রাসবাদী হামলার অনুশীলন। সেখানে ১২ জন অফিস কর্মচারীকে ডামি হিসাবে রাখা হয়। প্রথমে STF (Special Task Force) অভিযান শুরু করে এবং পরে NSG এসে তা সফলভাবে সম্পন্ন করে।
এই মহড়ার লক্ষ্য ছিল একটি সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার ক্ষেত্রে কলকাতা বিমানবন্দর কতটা প্রস্তুত — তা যাচাই করা। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের মহড়া শুধু আত্মবিশ্বাস বাড়ায় না, চূড়ান্ত বিপদের সময় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতেও সাহায্য করে।