কলকাতার কসবায় ঘটল রোমহর্ষক ঘটনা। কয়েক দিন ধরে সেন পরিবারের কাউকে দেখতে পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা (Kasba)। সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের এক আত্মীয়কে খবর দেওয়া হয়। সেই আত্মীয় মেয়ে সম্প্রীতি সেনের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তিনি বারবার জানাতে থাকেন যে মা-বাবা ভালো আছেন। কিন্তু তাঁরা ফোনে কথা বলবেন কিনা জিজ্ঞেস করলে সম্প্রীতি কিছুতেই ফোন দেন না। সন্দেহ আরও বাড়ে (Kasba)।
এরপর সোমবার আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা একসঙ্গে কসবার বাড়িটিতে পৌঁছন। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বহুবার ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় (Kasba)। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঢুকতেই ভিতর থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বেরোয়। দেখা যায়, ঘরের মাঝখানে পচাগলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে সুমিত সেনের দেহ। তাঁর বয়স ছিল প্রায় ৫০ (Kasba)।
পুলিশ যখন মেয়ে সম্প্রীতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চায়, বাবা কখন মারা গিয়েছেন, মা কোথায়—তিনি কোনও প্রশ্নেরই সরাসরি উত্তর দেননি। এতে রহস্য আরও গভীর হয়। এরপর পুলিশ গোটা বাড়ি খুঁজতে শুরু করে। খাটের তলা থেকে পাওয়া যায় একটি বড় বস্তা। বস্তা খুলতেই দেখা যায়, ভিতরে পড়েছেন অর্চনা সেন—তিনি জীর্ণ অবস্থায়, অত্যন্ত দুর্বল। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বহু দিন ধরেই তিনি ওই বস্তায় ছিলেন এবং ঠিকমতো খাবার পাচ্ছিলেন না।
সুমিতের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, পরিবারের তিনজনেই মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতার জেরেই সুমিতের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মেয়েকেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই ঘটনার খবর ছড়াতেই কসবায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনার স্মৃতি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এলাকায়।












