Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • রাজ্য
  • পার্টি থেকে মৃত্যু! কসবায় হোটেলের ঘরেই শেষ নিঃশ্বাস CA আদর্শের, উঠছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
রাজ্য

পার্টি থেকে মৃত্যু! কসবায় হোটেলের ঘরেই শেষ নিঃশ্বাস CA আদর্শের, উঠছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

kasba hotel murder
Email :2

কসবায় (Kasba) এক হোটেলের ঘর থেকে এক Chartered Accountant–এর বিবস্ত্র দেহ উদ্ধারের ঘটনার পর পুরো এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। মৃতের দুই পা বাঁধা অবস্থায় দেহ পাওয়া যাওয়ায় রহস্য আরও গভীর হয়েছে। কেন তিনি নগ্ন অবস্থায় ছিলেন, কেন তাঁর পা বাঁধা ছিল—সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। (Kasba) ঘটনা তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য, যা গোটা মামলাকে আরও জটিল করে তুলছে।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ধ্রুব, কোমল এবং আদর্শ—এই তিনজনের পার্টির পরিকল্পনা ছিল (Kasba)। আরও কয়েকজন বন্ধু আসার কথা থাকলেও আদর্শের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু শেষ পর্যন্ত আসেননি। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, পার্টিতে সবাই মদ্যপান করেছিলেন। সেই সময়ই কোনও কারণে কথাকাটাকাটির সূত্র ধরে তিনজনের মধ্যেই হাতাহাতি শুরু হয় (Kasba)। তবে কোন কথাকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়েছিল, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।

সবচেয়ে বড় রহস্য আদর্শের মোবাইল ফোন। পুলিশ সূত্রের খবর, আদর্শের ফোন এখনও উদ্ধার হয়নি (Kasba)। ধৃত ধ্রুব ও কোমল মোবাইলটি নিয়ে কেন চলে গিয়েছিল, সে ব্যাপারে তারা মুখ খুলছে না। তদন্তকারীদের অনুমান, ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মুছে ফেলার উদ্দেশ্যেই মোবাইল নিয়ে পালানো হয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, আদর্শ এবং কোমলের পরিচয় হয় এক ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে। বেশ কিছু দিন ধরে অ্যাপেই তাদের কথাবার্তা চলছিল। সেই সমস্ত চ্যাট এবং তথ্য কেউ দেখে ফেলতে না পারে, তাই সম্ভবত সেগুলিও ডিলিট করা হয়েছে।

তদন্তে উঠে এসেছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—নিজের মোবাইল থেকেই হোটেলের চারতলার দুটি রুম বুক করেছিলেন আদর্শ। প্রথমে তিনি নিজের রুমে একাই ঢোকেন। অপর কক্ষে চেক–ইন করেন তাঁর পুরুষ ও মহিলা সঙ্গী—ধ্রুব ও কোমল। পরে কোমল আদর্শের ঘরে যান এবং কিছু সময় পর ধ্রুবও সেখানে উপস্থিত হন। পুলিশ সূত্রের দাবি, টাকার লেনদেন নিয়ে প্রথমে আদর্শের সঙ্গে কোমলের বচসা শুরু হয়। এরপর কোমল পাশের ঘর থেকে ধ্রুবকে ডেকে আনেন। তিনজনের মধ্যে হাতাহাতিও হয়।

তবে ঘটনার পরের অংশেই লুকিয়ে রয়েছে আসল রহস্য। হাতাহাতির পর ঠিক কী ঘটেছিল? কীভাবে আদর্শের মৃত্যু হল? কেন তাঁর দুই পা বাঁধা ছিল? মৃত্যুর নেপথ্যে কি পরিকল্পিত আঘাত, নাকি মারধরের ফলে পরিস্থিতি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়? এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজতেই এখন একাধিক দিক পরীক্ষা করছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts