দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনাটি (Kasba Case) ছিল সম্পূর্ণ পরিকল্পিত এবং পূর্বপরিকল্পিত চক্রান্তের ফল, এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT)-এর তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য (Kasba Case) ।
পুলিশ সূত্রের দাবি, গ্রেফতার হওয়া চার অভিযুক্তদের মধ্যে মনোজিত মিশ্র, প্রতীম মুখোপাধ্যায় ও জায়েদ আহমেদ—এই তিনজন অনেকদিন ধরেই ওই ছাত্রীকে লক্ষ্য করে রেখেছিল (Kasba Case) এবং কয়েকদিন আগে থেকেই নির্যাতনের ছক কষে রেখেছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে চতুর্থ ব্যক্তি কলেজের নিরাপত্তারক্ষী (Kasba Case) ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল। শুধু তাই নয়, তাদের মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করার প্রমাণও মিলেছে। সেই ভিডিও ব্যবহার করে শিকারদের ব্ল্যাকমেল করত তারা।
SIT জানিয়েছে, কলেজে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিন থেকেই নির্যাতিতা ছাত্রীর ওপর নজর রাখছিল মূল অভিযুক্ত। পুলিশের অনুমান, ২৫ জুনের গণধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ক্লিপ হয়তো কোথাও শেয়ারও করা হয়েছে। এর জন্য অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, বিশেষ করে প্রতীম ও জায়েদের বাসভবনে।
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, ২৫ জুন সন্ধ্যায় কলেজ প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন এমন ২৫ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে SIT। প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তারা কী দেখেছেন সেই রাতে, সেটাও তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে পুলিশ।