দক্ষিণ কলকাতার কসবা এলাকার (Kasba Case) এক নামী আইন কলেজে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা যে কতটা বিপন্ন, তা ফের একবার সামনে এল। কলেজ চত্বরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল এমন কারও হাতে, যার হাতে থাকার কথা নয় — এমনটাই উঠে এসেছে সাম্প্রতিক তদন্তে। অভিযোগ, ওই সিসিটিভি ফুটেজ সরাসরি অ্যাক্সেস করতে পারতেন গণধর্ষণের অভিযোগে ধৃত এক টিএমসিপি ছাত্রনেতা (Kasba Case) ! এমনকী, সেই অ্যাক্সেস ছিল আরও তিন অস্থায়ী কর্মীর মোবাইল ফোনেও (Kasba Case) ।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে কলেজে চলছিল এই নজরদারি। সিসিটিভি ফুটেজ শুধু নজর রাখার জন্য নয়, অনেক সময় ছাত্রছাত্রীদের ব্যক্তিগত মুহূর্তও রেকর্ড হয়ে যেত, আর সেগুলি দিয়েই চলত ব্ল্যাকমেল (Kasba Case) । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অস্থায়ী কর্মী এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন।
বলা হচ্ছে, অভিযুক্ত ছাত্রনেতার (Kasba Case) পাশাপাশি বিমল সামন্ত ও রাজু কাহার নামের দুই অস্থায়ী কর্মীর মোবাইলেও ছিল এই অ্যাক্সেস। যদিও, বছরখানেক আগে কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই দুই অস্থায়ী কর্মীর মোবাইল থেকে অ্যাক্সেস ডিলিট করতে বলা হয়। চিঠি দিয়ে জানানো হয় তাদের। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে — এই অ্যাক্সেস তাঁদের মোবাইলে ছিলই বা কীভাবে?
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, ভাইস প্রিন্সিপাল নিজে অভিযুক্ত ছাত্রনেতার মোবাইলে থাকা অ্যাক্সেস নিয়েও মুখ খুলতে রাজি নন। কেন তিনি এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিরব, সে নিয়েও জোরদার প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষা মহলে।
বর্তমানে তদন্তকারী অফিসাররা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন। ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা যে কতটা উপেক্ষিত ছিল, এবং কে বা কারা এ ধরনের ক্ষমতা পেয়েছিল, তা জানতে শুরু হয়েছে বিস্তারিত অনুসন্ধান।
এই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এমনকি রাজনৈতিক ছত্রছায়ার অভিযোগ ঘিরে তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
এই চিত্র দেখে একটা প্রশ্ন সকলের মনেই— ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা আদৌ কতটা সুনিশ্চিত? কলেজ কি রাজনৈতিক প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে?