কসবার (Kasba case) সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় কেঁপে উঠেছে গোটা রাজ্য। এই নারকীয় ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। কলেজ কর্তৃপক্ষের (Kasba case) কাছে তলব করা হয়েছে বিশদ রিপোর্ট। বিকাশ ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, কীভাবে কলেজ চত্বরে এমন গর্হিত ঘটনা ঘটল, কেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না, তার জবাব দিতে হবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, কলেজে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাফিলতির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে (Kasba case)। পাশাপাশি, প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও উঠছে একের পর এক প্রশ্ন।

ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র (Kasba case) ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রভাবশালী নেতা, যিনি বর্তমানে কলেজে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিযুক্ত। অভিযোগ, গত ২৫ জুন ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। ছাত্রী সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতেই ভয়াবহ রূপ নেয় ঘটনা। অভিযুক্ত তাঁকে ধর্ষণ করে। ঘটনায় তার সঙ্গে ছিল কলেজের আরও দুই ছাত্র। তিনজনকেই ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সকাল থেকেই কলেজে টানটান নিরাপত্তা। পুলিশের ঘেরাটোপে বন্দি গোটা এলাকা (Kasba case)। ইউনিয়ন রুম থেকে গার্ড রুম—প্রত্যেকটি স্থান খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রাস্তার দিকেও কড়া নজর। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে পুরো কলেজ চত্বর। সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। তাঁরা গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন, প্রমাণ সংগ্রহ করেন।
এই ঘটনার পর শুধু কলেজ নয়, শিক্ষা ব্যবস্থার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। ছাত্র রাজনীতি, দাদাগিরি এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার জাল যে কীভাবে কলেজ ক্যাম্পাসকেও অনিরাপদ করে তুলছে, কসবা কাণ্ড তার ভয়াবহ প্রমাণ।