ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হতেই হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলেন পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত ধর্মগুরু কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রায় ১৩ বছর আগে, ২০১৩ সালে এক মহিলাকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন তিনি (Kartik Maharaj)। সেই ঘটনার ভিত্তিতেই সম্প্রতি নবগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই মহিলা। এফআইআরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২), ৩১৩, ৫০৬ এবং ৪১৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে নবগ্রাম থানার তরফ থেকে সোমবার কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) কাছে একটি নোটিস পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, তাঁকে আগামী ১ জুলাই থানায় হাজিরা দিতে হবে। তবে সেই নোটিস পাওয়ার পরই মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হন মহারাজ। FIR খারিজ চেয়ে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে পিটিশন দায়ের করেন তিনি (Kartik Maharaj)।

কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) তাঁর আবেদনে জানান, তিনি ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী, এবং রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন। এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর মতে, এটা আসলে সাধু সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক আক্রমণ’। এই ঘটনাকে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমেই মোকাবিলা করবেন বলেও জানান।
অন্যদিকে, নির্যাতিতা মহিলার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই অভিযোগের পরে তাঁর উপর যেকোনও সময় আক্রমণ হতে পারে—সে কারণেই পুলিশ তাঁকে নিরাপত্তা দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কার্তিক মহারাজ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, সত্য নিজের পথেই যাবে। আইনও আইনের পথেই চলবে।”
এই মামলার শুনানি হবে বুধবার, কলকাতা হাইকোর্টে।