তিনি সফল আইনজীবী, চারবারের সাংসদও। বহু বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। রাজনীতির পথ ঘাট তাঁর চেনা। তবুও, তিনি বলছেন— “বর্ণময় রাজনীতি আমি বুঝি না। আমার কাছে রাজনীতি মানে মানুষের সেবা।”
শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, রাজনীতি নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক কেমন। নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তুলে ধরেন তাঁর সংগ্রামের কাহিনি। বলেন, “আমি বাঁকুড়া থেকে এসে কেরিয়ার তৈরি করেছি। অনেক লড়াই করে এই জায়গায় পৌঁছেছি। আমি কোনোদিন পদকে অপব্যবহার করিনি।”
এদিন সাংবাদিকরা তাঁকে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। মহুয়াকে ঘিরে ‘বর্ণময় রাজনীতি’র অনেক আলোচনা চলছে। কিন্তু এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি কল্যাণ (Kalyan Banerjee)। সোজাসুজি বলেন, “ওর সম্বন্ধে প্রশ্ন করবেন না। অনেক কিছু বলতে হবে। আপনারা সব জানেন, আমি কিছু বলব না।”
তবে এরপর, পরোক্ষভাবে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন। বলেন (Kalyan Banerjee), “রাজনীতিতে এসে কেউ যদি এমপি, এমএলএ হয়ে সেই পদের অপব্যবহার করেন, তাহলে সেটা বর্ণময়তা নয়। বরং সেটা চরিত্রহীনতা।”
তাঁর কাছে রাজনীতির প্রকৃত বর্ণময় চরিত্র কারা—সেটাও স্পষ্ট করে দেন। বলেন (Kalyan Banerjee), “আমার কাছে বর্ণময় চরিত্র মানে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, জ্যোতি বসু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁরা মানুষের জন্য কাজ করেছেন।”
শাসকদলের এই অভিজ্ঞ নেতা বলেন, “এখন দেখা যাচ্ছে, প্রথমে এমপি এমএলএ হতে হবে, তারপর সেই পদের দাপট দেখিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে হবে। আমি এর বিরোধী। বাংলার রাজনীতি লন্ডন বা উত্তরপ্রদেশের মতো নয়। এখানে মানুষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের লড়াইকে সম্মান করে, সুবিধা নেওয়াকে নয়।”