রবিবার রাতের সল্টলেকে তীব্র চাঞ্চল্য। প্রাক্তন মন্ত্রী ও হাবড়ার তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mallick) বাড়ির ভিতরেই হামলার ঘটনা। রাত প্রায় আটটার সময় নিজের সল্টলেকের বাড়িতে ঢোকার পর পিছন পিছন এক যুবক ঢুকে পড়ে এবং আচমকাই ঘুঁষি মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশে এবং আটক করা হয় ওই যুবককে।
জ্যোতিপ্রিয়ের দাবি, হামলাকারী নেশাগ্রস্থ ছিল (Jyotipriyo Mallick)। দিনভর কর্মচারীদের তাঁর খোঁজ নিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “দেখে মনে হল দুপুর থেকেই বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে। কর্মচারীদের বলছে, আমি কোথায়। রাত আটটায় বাড়ি ফিরতেই পিছন থেকে ঢুকে পড়ে। তারপরই হামলা করে। হাবড়ার কোনও ছেলে যে এমন করবে, সেটাই ভাবতে পারছি না।”
ঘটনার পরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে এভাবে কে-ই বা চুপিসারে ঢুকে হামলা (Jyotipriyo Mallick) চালাতে পারে? বিরোধীরা ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে, এই ঘটনা কি নিরাপত্তার বড় ফাঁকফোকর প্রমাণ করল?
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম অভিষেক দাস (Jyotipriyo Mallick)। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রের দাবি, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। ধরা পড়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ঘটনার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই মেলে মুক্তি।
এই ঘটনায় নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন— মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে অভিযুক্তকে এত দ্রুত ছেড়ে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? অন্যদিকে, শাসকদলের অন্দরেও ফিসফাস— একজন প্রাক্তন মন্ত্রীর এত কাছাকাছি কেউ কীভাবে পৌঁছে গেল? সাধারণ মানুষও প্রশ্ন তুলছেন— ভিআইপি নিরাপত্তার পর্দা ভেদ করে ঢুকে পড়া কি এতটাই সহজ?












