জোকার (Joka) বিখ্যাত ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তকে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সেখানে শুনানিতে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করে উভয় পক্ষ। পুলিশ (Joka) জানায়, এই ঘটনায় কেবলমাত্র ধর্ষণ নয়, আরও “খারাপ কিছু” হয়ে থাকতে পারে, তাই ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ অত্যন্ত জরুরি।
আদালতে পুলিশের (Joka) আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল বলেন, “মেডিক্যাল রিপোর্টে এমন কিছু ইঙ্গিত মিলেছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে অভিযুক্তের মোবাইল ব্যবহার করে আরও অশ্লীল কাজ বা ছবি তোলা হয়ে থাকতে পারে। তাই ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ ও ডিভাইস ফরেনসিক পরীক্ষা একান্ত প্রয়োজন।” তদন্তকারী অফিসারের পক্ষ থেকেও বলা হয়, “কোনও ছবি বা ভিডিও গোপনে তোলা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অভিযুক্তের আইনজীবী সুব্রত সর্দার এই অভিযোগকে পুরোপুরি খণ্ডন করেন (Joka)। তিনি বলেন, “FIR-এ স্পষ্ট উল্লেখ আছে—অভিযোগকারিণী একজন সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলর। তাঁদের পরিচয় ফেসবুকে হয়। সেদিন কলেজে ঢোকার সময় তাঁকে দু’বার সিকিউরিটি চেকিংয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এরপর তিনি নিজেই অভিযুক্তের সঙ্গে ক্যানটিনে যান, জল এবং পিৎজা খান। তারপর নিজেই বমি করার চেষ্টা করেন, এবং পরে অজ্ঞান হয়ে যান।”
তিনি (Joka) আরও বলেন, “তরুণী সকাল ১১টা ৪৫ থেকে রাত ৮টা ৩৫ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলেন। অথচ কলেজ থেকে থানার দূরত্ব মাত্র সাত কিলোমিটার। তাহলে এতক্ষণ পর অভিযোগ দায়ের কেন? সেই সময় তো অভিযোগকারিণী যেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র মতো গায়েব হয়ে থানায় হাজির!”
অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, “ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ও ভিডিওগ্রাফি হয়েছে। তবে কেন অভিযোগপত্রে তার উল্লেখ নেই? কেন তাঁর জামাকাপড় ও ফোন বাজেয়াপ্ত হলেও সেই প্রসঙ্গ FIR-এ নেই? সবকিছু মনে থাকলেও ভিডিওগ্রাফির কথা তাঁর মনে নেই কেন?” তাঁর আরও দাবি, “অভিযোগকারিণী স্বেচ্ছায় অভিযুক্তের সঙ্গে গিয়েছিলেন। সেখানে জোর করে কিছু করা হয়নি।”
এদিকে পুলিশ আদালতে জানায়, অভিযুক্ত অত্যন্ত মেধাবী হলেও মানসিকভাবে পুরোপুরি স্থিতিশীল নন। তাই তাঁর মানসিক পরিস্থিতি, মোবাইল ও ডিজিটাল ডিভাইস খতিয়ে দেখা হবে।
তদন্তে নতুন দিক খোলার আশঙ্কায় মামলার গুরুত্ব আরও বাড়ছে। পুলিশ মনে করছে, ধর্ষণের অভিযোগ ছাড়াও ঘটনাস্থলে এমন কিছু ঘটেছে, যার প্রমাণ পেলে মামলায় নতুন মোড় আসতে পারে। এখন তদন্ত কতদূর এগোয়, সেটাই দেখার।