সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল মহানগরী। নামী এক ম্যানেজমেন্ট কলেজের আবাসনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা শহর (Joka)। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারও করা হয় অভিযুক্ত এক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রকে। কিন্তু বিকেল গড়াতেই এই চাঞ্চল্যকর কাণ্ডে নেমে আসে এক নাটকীয় মোড় (Joka)। অভিযোগকারিণীর বাবা প্রকাশ্যে এসে দাবি করলেন—তাঁর মেয়ের সঙ্গে কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। এমনকি মেয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত ছাত্রের কোনও সম্পর্কই নেই বলে জানিয়েছেন তিনি (Joka)।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাত ৯টা ৩৪ মিনিটে। মেয়ের ফোন পেয়ে উদ্বিগ্ন বাবা জানান, মেয়ে ফোনে তাঁকে জানায়, অটো থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছে, এবং হাসপাতালে ভর্তি (Joka)। দ্রুত এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছলে তিনি জানতে পারেন, হরিদেবপুর থানার পুলিশ তাঁর মেয়েকে নিয়ে গিয়েছে। এরপর মেয়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে বাবার দাবি—মেয়ে নিজেই বলেছে, তার সঙ্গে কোনওরকম যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি v।
তাঁর অভিযোগ আরও ভয়াবহ। মেয়ের কথায়, নাকি পুলিশই তাকে বারবার ধর্ষণের কথা বলার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এমনকি মেডিক্যাল পরীক্ষার সময়ও কিছু বলার আগে পুলিশের ইঙ্গিত ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।
কিন্তু অন্যদিকে, তরুণী যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাতে চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবক ক্যাম্পাসিংয়ের নামে তরুণীকে কলেজের ভিতরে নিয়ে যায়। পরে ‘দরকারি কাজ আছে’ বলে তাকে বয়েজ হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তরুণীকে দেওয়া হয় জল ও পিৎজা। অভিযোগ, খাওয়ার পরেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। তরুণী বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে।
এই দ্বিমুখী বক্তব্যের জেরে নতুন করে বিতর্ক ঘনাচ্ছে। একদিকে তরুণীর অভিযোগে ধর্ষণের মামলা, অন্যদিকে পরিবারের দাবি—সবটাই সাজানো! পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সত্যিই কি কোনও নির্যাতন হয়েছিল, নাকি চাপের মুখে দায় স্বীকার? না কি ঘটনাচক্রে তৈরি হল এক চরম বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি?