বিকাশ ভবন ঘিরে চলা উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম (Teachers Protest)। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার পর পুলিশি ভূমিকা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন (Teachers Protest)। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি (Teachers Protest)।
জাভেদ শামিম বলেন, “সরকারি কর্মীরা বিকাশ ভবন থেকে বের হতে পারছিলেন না। তাঁদের নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা করে দেওয়ার জন্যই আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে বাধার মুখে পড়ি। সেই বাধা সরানোর জন্য যা যা প্রয়োজন, আমরা সেটুকুই করেছি।”
পুলিশ কীভাবে, কোথায়, কখন পদক্ষেপ নেবে, তা নিয়ে সমালোচনার জবাবে জাভেদ শামিম বলেন, “এসি রুমে বসে সব কিছু নির্ধারণ করা যায় না। এটা একটা ‘ডায়নামিক সিচুয়েশন’ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়।” পাশাাশি তিনি বলেন, “শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য আমাদের পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে। চাকরি হারানো অনেক বড় জিনিস। সেই কারণে প্রথম থেকে এই আন্দোলনের সময় সংযত থেকে পুলিশ। এমনকী, কালকে যখন বিকাশ ভবনের গেট ভাঙা হয়, তখনও সংযত থেকে পুলিশ। কিন্তু অন্যদের অধিকারের দিকেও তাকাতে হবে। বিকাশ ভবনের কর্মীদের বের করতে হতো। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাঁদের বাইরে বের হতে বাধা দেয়। তাঁদের অধিকারের কথাও তো দেখতে হবে। আজকে এখনও বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ কিছু বলেনি। শুধু সেই সময় বিকাশ ভবনের কর্মীদের বাইরে বের করার সময় বাধ্য হয়েই পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতভর শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বিক্ষোভের জেরে বিকাশ ভবনের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ ও বলপ্রয়োগের অভিযোগ তুলেছে আন্দোলনকারীরা। যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতেই তারা বাধ্য হন ব্যবস্থা নিতে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও বারবার বলা হচ্ছে, সংবেদনশীলতা বজায় রেখেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। তবে আন্দোলনকারীরা পুলিশের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ এবং আন্দোলন আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বর্তমানে গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন।