Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • নবান্নে রাষ্ট্রপতির চিঠি! বিজেপির শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে চাঞ্চল্য, রইল না গোপন কিছু!
রাজ্য

নবান্নে রাষ্ট্রপতির চিঠি! বিজেপির শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে চাঞ্চল্য, রইল না গোপন কিছু!

jagannath chaterjee
Email :11

দলীয় সভাপতি নির্বাচনের সেলিব্রেশন শেষ হতে না হতেই রাজ্য বিজেপির অন্দরে বয়ে গেল অস্বস্তির ঝড়। আয় বহির্ভূত সম্পত্তি ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগে এবার কাঠগড়ায় রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chaterjeee)। এই অভিযোগ ঘিরেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শুধু অভিযোগই নয়, সেই অভিযোগ নিয়ে সরাসরি নবান্নকে চিঠি পাঠিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের সচিবালয়! তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে মুখ্যসচিবকে (Jagannath Chaterjeee)। তদন্তের রিপোর্ট যেন অভিযোগকারীকেও জানানো হয়— এমন নির্দেশও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

সূত্র অনুযায়ী, উদয় সিং নামে এক ব্যক্তি এই অভিযোগ করেন জগন্নাথের বিরুদ্ধে (Jagannath Chaterjeee)। অভিযোগ, তাঁর নামে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি আসলে আয় বহির্ভূত। এমনকি বেনামে সম্পত্তি কেনা ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগও তোলা হয়েছে। সেই অভিযোগ জমা পড়ে সিবিআই ও ইডি-র কাছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে রাইসিনা হিলের তরফ থেকে তৎপরতা শুরু হয়। রাজ্যের প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

যদিও পুরো বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় নিজে। তাঁর (Jagannath Chaterjeee) দাবি, “এ সব ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমার কোনও বেআইনি সম্পত্তি নেই। সবই আমার আয়ের মধ্যে। রাজনীতিতে থেকে যাঁরা ভয় পান, তাঁরাই এভাবে অপপ্রচার করে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছেন।”

উল্লেখ্য, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হিসেবেই তাঁর পরিচিতি। সাংবাদিকতা থেকেও উঠে আসা এই নেতা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিউড়ি কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন, যদিও পরাজিত হন।

অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন।

এমন একটি সময়ে এই অভিযোগ সামনে এল, যখন রাজ্য বিজেপি তাদের নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রশ্ন উঠছে— এই অভিযোগ কি রাজ্য বিজেপির অন্দরে ভাঙন বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইঙ্গিত? নাকি সত্যিই কোনও ভয়ানক বাস্তব সামনে আসতে চলেছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts