মুর্শিদাবাদ সফরের আগে নতুন করে বিতর্কে জড়াল রাজ্য প্রশাসন (Calcutta High Court)। জাফরাবাদে নিহত বাবা-ছেলের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পুলিশের ভূমিকা ঘিরে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ (Calcutta High Court)। রবিবার রাতে তাঁদের বিধাননগরের সেফ হাউস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের (Calcutta High Court)। পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। বিচারপতি (Calcutta High Court) তীর্থঙ্কর ঘোষ এই মামলার অনুমতিও দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, জাফরাবাদে নিহত বাবা-ছেলের পরিবারের সদস্যরা কলকাতায় এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিধাননগরের একটি সেফ হাউসে। অভিযোগ, রবিবার গভীর রাতে প্রায় ৪০ জন পুলিশ বিধাননগর পূর্ব থানার পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত হয় এবং দরজা ভেঙে তাঁদের জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
অন্যদিকে, পুলিশের পাল্টা দাবি, তাঁদের ‘অপহরণ’ করা হয়েছে এবং উদ্ধার করতে গিয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় কলকাতায় এসেছেন এবং সেফ হাউসে আশ্রয় নিয়েছেন—এতে জবরদস্তির কোনও প্রশ্নই নেই।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহতদের পরিবার কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতির আবেদন জানান। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সোমবার সেই অনুমতি দেন।
প্রসঙ্গত, ওয়াকফ ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের সুতি, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ-সহ একাধিক এলাকা। বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুঠপাটের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে। জাফরাবাদে বাবা-ছেলেকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগের পর রাজ্য রাজনীতিও সরগরম হয়ে ওঠে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপরই সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ সফরে যাচ্ছেন। তার আগেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ওঠা এই নতুন অভিযোগ প্রশাসনের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করল।