Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • রাজ্য
  • ভোটার তালিকা যুদ্ধ শুরু! বৈধ নাম বাদ পড়লে তৃণমূলের মিছিল, অবৈধ থাকলে বিজেপির আগুনে বার্তা
রাজ্য

ভোটার তালিকা যুদ্ধ শুরু! বৈধ নাম বাদ পড়লে তৃণমূলের মিছিল, অবৈধ থাকলে বিজেপির আগুনে বার্তা

sajal ghosh
Email :4

বাংলায় ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে ক্রমশই চড়ছে রাজনৈতিক পারদ (Bengal SIR Row)। বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা— বা এসআইআর— ঘোষণা হতেই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তীব্র সংঘাতের আবহ। তৃণমূলের দাবি, বৈধ ভোটারের নাম যদি একটিও বাদ দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করবেন তাঁরা (Bengal SIR Row)। আর সেই পাল্টা সুরেই এবার সরব বিজেপি। saffron camp-এর হুঁশিয়ারি, এসআইআরের পর যদি একজন অবৈধ ভোটারের নামও থেকে যায়, তাহলে ১ লক্ষ বাঙালি কমিশন ঘেরাও করতে নামবেন।

সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রীয় তালিকা সংশোধন নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁর অভিযোগ (Bengal SIR Row), “আগে সরকার বেছে নিত ভোটাররা, আর এখন সরকার ঠিক করছে কারা ভোট দেবেন।” তিনি স্পষ্ট বলেন, একজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলেই, বাংলার এক লক্ষ মানুষ দিল্লিতে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করবেন। সেই মন্তব্যের রেশ কাটার আগেই বিজেপির পাল্টা অবস্থান সামনে এল। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “একজন অবৈধ ভোটারের নাম যদি তালিকায় থাকে, ১ লক্ষ বাঙালি কমিশন ঘেরাও করবে।”

রাজনৈতিক মহল বলছে, তৃণমূল যেখানে ‘বৈধ ভোটার’-(Bengal SIR Row) এর অধিকার রক্ষায় সরব, সেখানে বিজেপি সরাসরি ‘অবৈধ ভোটার’ প্রসঙ্গ তুলে পাল্টা বার্তা দিল। বিজেপির অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা বাংলায় আশ্রয় পেয়েছেন, ভোটার কার্ড পেয়েছেন এবং ভোটও দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বারবার দাবি করেছেন, এসআইআর হলে প্রায় এক কোটি নাম বাদ পড়বে ভোটার তালিকা থেকে।

এদিকে ৪ নভেম্বর থেকে ব্লো-রা শুরু করবেন বাড়ি বাড়ি যাচাই। ৯ ডিসেম্বর ঘোষণা হবে খসড়া ভোটার তালিকা। আর ২০২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত তালিকা। সেই সময়কাল ঘিরেই বাড়ছে জল্পনা— শেষ পর্যন্ত কোন পক্ষ কতটা চাপ তৈরি করতে পারে নির্বাচনী পরিসরে?

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা তাই এই মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মত, এই ভোটার তালিকা সংশোধন শুধু প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়, ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে রাজনীতির মোক্ষম লড়াইয়ের অংশ হয়ে উঠেছে। দুই শিবিরের হুঁশিয়ারি ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভোটের খেলায় কালি-ঝামা ছোঁড়াছুঁড়ি আরও বাড়বে, আর নির্বাচন কমিশনকে সামলাতে হবে নজিরবিহীন চাপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts