দুপুরে ছাতু বিক্রির আড়ালে রাতে চলে মধুচক্রের (Honeytrap) আসর? এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার তেঁতুলতলা। এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের সন্দেহ বৃহস্পতিবার রাতে রূপ নেয় জনরোষে (Honeytrap)। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, যে বাড়িতে বিহার থেকে আসা তিন যুবক ভাড়া থাকেন, সেখানেই সন্ধ্যা নামার পর জমে ওঠে বেআইনি কার্যকলাপ। যুবক-যুবতীদের আনাগোনা এবং রহস্যময় কার্যকলাপ ঘিরে স্থানীয়দের কপালে ভাঁজ পড়ে। অবশেষে ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন গ্রামবাসীরা (Honeytrap)।
ঘটনাটি ঘটে হাদিপুরের তেঁতুলতলা অঞ্চলে। জানা যায়, বিহারের বাসিন্দা তিন যুবক কিছুদিন আগে এলাকায় এসে একটি বাড়ি ভাড়া নেন। তাঁরা জানান, ছাতু বিক্রিই তাঁদের পেশা। দিনের বেলায় তাঁদের দেখা যেত এলাকাজুড়ে ছাতু বিক্রি করতে। কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই পাল্টে যেত চিত্র (Honeytrap)।
গ্রামবাসীদের দাবি, সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ওই বাড়িতে বাইরের অনেক যুবক-যুবতী যাতায়াত করতে থাকেন (Honeytrap)। তাঁরা অনুমান করেন, বাড়িটিতে বসছে মধুচক্রের আসর। বৃহস্পতিবার সেই অভিযোগ নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতার সঙ্গে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বিহারি যুবকেরা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন। এলাকায় দ্রুত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে। বিহার থেকে আসা তিন যুবককে পুলিশি নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে। যদিও ঘটনার বিষয়ে বাড়ির মালিক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও বেআইনি কার্যকলাপ তাঁর বাড়িতে চলে না। তিনি দাবি করেন, ভাড়াটিয়া যুবকেরা নিজেরাই বাড়িতে থাকেন, বাইরের কেউ সেখানে আসেন না।
পুলিশ জানায়, কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ভাড়াটিয়াদের সম্পর্ক কিছুদিন ধরে খারাপ যাচ্ছিল, সেটাই এই উত্তেজনার মূল কারণ হতে পারে বলে অনুমান। পরিস্থিতি যাতে আর উত্তপ্ত না হয়, তার জন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে, নিরাপত্তার অভাবে আতঙ্কে রয়েছেন ভাড়াটিয়া যুবকেরা। তবে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, তাঁদের সুরক্ষায় কোনও খামতি রাখা হবে না।