দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত এলাকা গড়িয়াহাট (Gariahut) থেকে উঠে এল চাঞ্চল্যকর এক কাণ্ড। মাসে প্রায় ৮০ হাজার টাকা আয়, রয়েছে দুটি ফ্ল্যাট, আয়কর রিটার্নও নিয়মিত জমা—সব কিছুর পরেও চুরির নেশা ছাড়তে পারেনি এক পরিচারিকা। শেষপর্যন্ত সেই ‘বিশ্বাসভাজন’ পরিচারিকাই গ্রেপ্তার হল গড়িয়াহাট (Gariahut) থানার পুলিশের হাতে। অভিযোগ, সে এক অভিজাত পরিবারের ঘর থেকে দীর্ঘ এক বছর ধরে গোপনে চুরি করেছে প্রায় দু’কোটি টাকার সোনা ও হীরের গয়না।
গ্রেপ্তার হওয়া পরিচারিকার নাম মঞ্জু গুপ্তা। সে গড়িয়াহাটের (Gariahut) ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনসের এক ধনী পরিবারের বাড়িতে গত ছয় বছর ধরে কাজ করছিল। পরিবারের এতটাই প্রিয় হয়ে উঠেছিল যে, ঘরের গুরুত্বপূর্ণ চাবিগুলো পর্যন্ত তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনা করেই সে একাধিকবার সোনা ও হীরের গয়না চুরি করেছে বলে অভিযোগ (Gariahut)।
পুলিশ (Gariahut) সূত্রে জানা গেছে, মঞ্জু মাসে ৮০ হাজার টাকা বেতন পেত। সেই টাকায় সে দক্ষিণ কলকাতার কসবার শরৎ ঘোষ গার্ডেন রোড ও নবীনকৃষ্ণ ঘোষাল রোডে দুটি ফ্ল্যাট কিনেছে—একটি তিনতলায়, অন্যটি চারতলায়। এতটাই আয় ছিল তার, যে সে নিয়মিত আয়করও জমা দিত, এমনকি বছরে প্রায় সাড়ে ন’লাখ টাকার আয় দেখিয়ে ITR ফাইল করত।
সম্প্রতি ওই পরিবারের সদস্যরা একটি লকার খোলার সময় বুঝতে পারেন, ঘরে থাকা বহু গয়না উধাও। তড়িঘড়ি বাড়ির অন্যান্য লকারও খতিয়ে দেখে দেখা যায়, সোনা ও হীরের হার, চুড়ি, বালা-সহ কমপক্ষে ৩৬ ধরনের গয়না চুরি হয়েছে। অনুমান, এই গয়নার মোট মূল্য প্রায় দু’কোটি টাকা।
পরিচারিকা মঞ্জুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গয়না উদ্ধার করেছে। তবে তদন্তকারীদের অনুমান, চুরি যাওয়া বাকি গয়নাগুলি হয় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, নয়তো অন্য কোথাও লুকানো রয়েছে।
এই ঘটনা সামনে আসতেই দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত মহলে নেমেছে তীব্র চাঞ্চল্য। কীভাবে এতদিন ধরে চোখের সামনে চুরি চালিয়ে গেল এক পরিচারিকা, তা ভেবে হতবাক বাড়ির সদস্যরাও।