লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক অভিনব প্রতারণার জালে (Fraud Case) ফেঁসে গিয়েছিলেন বালির বাসিন্দা সায়ন অধিকারী। অভিযোগ, তাঁকে ৮ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একদল প্রতারক কৌশলে ধাপে ধাপে আদায় করে নেয় প্রায় ২ লক্ষ টাকা (Fraud Case)। সেই টাকা আদায় করা হয় ‘প্রসেসিং ফিস’, ‘এনওসি’, ‘জিএসটি যাচাই’-এর অজুহাত দেখিয়ে।
ঘটনার এখানেই শেষ নয়। প্রতারিত (Fraud Case) সায়ন টাকা ফেরত চাইতে গেলে, আরও ভয়ানক পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। অভিযোগ অনুযায়ী, চলতি মাসের ২৩ তারিখ তিনি যখন অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করতে যান, তখন তাঁকে একঘরে আটকে রেখে জোর করে লিখিয়ে নেওয়া হয় মুচলেকা—যাতে তিনি স্বেচ্ছায় টাকা দিয়েছেন, এবং সেই টাকার জন্য আর কোনও দাবি নেই (Fraud Case)।
এই অপমানজনক ঘটনার পরেই সায়ন নারায়ণপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে দ্রুত অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং দেখা করার নাম করে একটি স্থান নির্ধারণ করে। নির্ধারিত সময় ও স্থানে সাদা পোশাকে হাজির হয় পুলিশ বাহিনী। অভিযুক্তরা উপস্থিত হতেই সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ (Fraud Case)।
গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে রয়েছে হাওড়ার বাসিন্দা নয়ন দেবনাথ, ডায়মন্ডহারবারের বাসিন্দা মহম্মদ মতিউর রহমান, বাগুইআটির এসকে মনিরুদ্দিন আহমেদ এবং জোড়াবাগানের প্রবীণ মল। তাদের মধ্যে নবীন পেশায় একজন আইনজীবী বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। পাঁচজনকেই বারাকপুর আদালতে তোলা হয়।
প্রতারিত সায়নের কথায়, “একজন আইনজীবী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁর ব্যবহারে মনে হয়েছিল, তিনি বিশ্বাসযোগ্য। সেই কারণেই সব কিছু বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম। ভাবিনি এমনটা হবে!”