Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • নীল বাতির গাড়ি, পুলিশের পোশাক, পরিচয়… পাঁচ মাস পর ফাঁস! গড়ফার ভুয়ো পুলিশ অফিসার ধরা পড়লেন
রাজ্য

নীল বাতির গাড়ি, পুলিশের পোশাক, পরিচয়… পাঁচ মাস পর ফাঁস! গড়ফার ভুয়ো পুলিশ অফিসার ধরা পড়লেন

fake police
Email :1

গড়ফার হালতু কালীতলা রোডে বসবাস করেন সুস্মিতা সেন নামের এক গৃহবধূ। পাঁচ মাস আগে তাঁর বাড়ির একটি ঘর ভাড়া নেন রণজয় চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি (Fake Police)। ভাড়া নেওয়ার সময় রণজয় জানান, তিনি অ্যাডিশনাল এসপি পদমর্যাদার একজন পুলিশ অফিসার এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন বান্ধবী, যাঁর সঙ্গে নাকি তাঁর আইনি বিয়েও হয়েছে। এসব শুনে, এবং তাঁর চালচলন দেখে বিশ্বাস করেন বাড়িওয়ালা (Fake Police)। ঘর ভাড়া দেওয়া হয় সাত হাজার টাকায়।

রণজয়ের চালচলনও ছিল একেবারে উচ্চপদস্থ অফিসারের মতো (Fake Police)। সকাল-বিকেল নীলবাতি লাগানো SUV গাড়ি এসে দাঁড়াত তাঁর বাড়ির সামনে। কখনও বা পুলিশের বাইকও ব্যবহার করতে দেখা যেত তাঁকে। এলাকার মানুষ এবং বাড়িওয়ালা-প্রতিবেশীরা মনে করতেন, তিনি সত্যিই উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মী। এমনকি বাড়িওয়ালার আত্মীয়কে পুলিশে চাকরি (Fake Police) দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। শুরুতে কোনও টাকা না চাইলেও পরে বলেন, চাকরি পেতে ৪ লক্ষ টাকা লাগবে। তখন সন্দেহ হয় এবং টাকা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাড়িওয়ালারা।

এই পাঁচ মাসে রণজয়ের (Fake Police) নামে এলাকায় একটা দাপট তৈরি হয়। রাতে বহিরাগতদের আনাগোনা লেগেই থাকত। ঘরের দরজা খোলা রেখেই বসত মদ্যপানের আসর। প্রতিবেশীরা ভয়ে কিছু বলতেন না, কারণ সকলেই ভাবতেন, তিনি একজন পুলিশ অফিসার। কিন্তু বুধবার রাতে হঠাৎই এলাকায় চাঞ্চল্য—সরাসরি পুলিশ এসে বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং গ্রেফতার করে রণজয়কে। তখনই সামনে আসে আসল সত্যি—রণজয় আদৌ কোনও পুলিশ নন।

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন মানুষের থেকে টাকা তুলছিলেন তিনি (Fake Police)। এই বিষয়ে আমডাঙা থানায় একটি প্রতারণার মামলা রুজু হয় এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

বাড়িওয়ালা জানিয়েছেন, তিনি নিয়মিত ভাড়া দিলেও এখনও আট হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল বাকি রয়েছে। এমনকি যিনি প্রতিদিন খাবার জল সরবরাহ করতেন, তাঁর কাছেও রণজয়ের ২৯০০ টাকা বাকি।

এই ঘটনায় চরম হতবাক সুস্মিতা সেন এবং তাঁর পরিবার। যে মানুষটিকে এতদিন পুলিশের বড় কর্তা ভেবে আশ্রয় দিয়েছিলেন, তিনিই যে একজন প্রতারক—এমন ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts